ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আরও একটি নতুন ভাইরাস হান্তা! মৃত্যু ১

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৫ মার্চ ২০২০

আরও একটি নতুন ভাইরাস হান্তা! মৃত্যু ১

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এমনিতেই তটস্থ বিশ্বব্যাপী। এর মধ্যে উদ্ভব হয়েছে নতুন আরেক ভাইরাসের। এর নাম হান্তাভাইরাস। সোমবার এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। খবর গ্লোবাল টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। চীনের স্থানীয় একটি গণমাধ্যম এক টুইট বার্তায় জানায়, সোমবার দেশটির শানডং প্রদেশ থেকে কাজ শেষে বাসযোগে ইউনান প্রদেশে ফেরার সময় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তার শরীরে হান্তাভাইরাস ধরা পড়ে। টুইট বার্তায় আরও বলা হয়, ওই বাসে থাকা ৩২ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তাদের পরীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি। এটা মানুষের মথ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। অনেকে মনে করছে, এটা চীনের আরেক ভাইরাস, যা নতুন করে মহামারী তৈরি করবে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, হান্তাভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোম (এইচপিএস) মানুষের শ্বাসযন্ত্রে তীব্র, কখনও কখনও মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তবে এটা করোনাভাইরাসের মতো বায়ুবাহিত রোগ নয়। এই ভাইরাস ইঁদুরের মাধ্যমে ছড়াতে পারে, যদিও এটা তাদের মধ্যে ছড়ায় না। ইঁদুরের মূত্র, লালা বা মলের সাহায্যে মানুষ হান্তাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া করোনাভাইরাসের মতো মানুষ থেকে মানুষে হান্তাভাইরাস ছড়াবে। তবে কেউ যদি ইঁদুরের মূত্র বা বাসা বাধার উপকরণ ছুঁয়ে আসার পর চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করে তাহলে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- ক্লান্তি, জ্বর ও পেশিতে ব্যথা অনুভব করা। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, ঠা-া এবং পেটের সমস্যা যেমন- বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। উল্লেখ্য, হান্তাভাইরাসের উৎপত্তি যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি অঞ্চলে হান্তাভাইরাসের উৎপত্তি। অঞ্চলটি আরিজোনা, নিউ মেক্সিকো, কলারোডা ও উতাহকে ভাগ করেছে, যা ফোর কর্নারস নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, আর্জেন্টিনা, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, পানামা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে হান্তাভাইরাস আক্রান্ত রোগীও চিহ্নিত করা হয়েছে।
×