ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, অর্ধ উলঙ্গ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ২৫ মার্চ ২০২০

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা, অর্ধ উলঙ্গ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও, ২৪ মার্চ ॥ ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জামগাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে লাশ। ঘটনাটি ঘটে সোমবার গভীর রাতে উপজেলার পাড়াভরট আড়াইয়ানা গ্রামে। পুলিশ খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে শিক্ষার্থীর অর্ধউলঙ্গ লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে। জানা গেছে, উপজেলা যশরা ইউনিয়নের পাড়াভরট আড়াইয়ানা গ্রামের দরিদ্র আব্দুল মতিনের তিন মেয়ের মধ্যে ধর্ষণের শিকার বড় মেয়ে (১৯) আঠারদানা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গত বছর এসএসসি পাস করেও দরিদ্রতার কারণে কলেজে ভর্তি হতে পারেনি। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সে (ধর্ষিতা) ও তাঁর বোন খাওয়া দাওয়া শেষে আলাদা ঘরে ঘুমায়। মঙ্গলবার ভোরে বাড়ি থেকে তিনশত মিটার দূরে পাড়াভরট জামে মসজিদের পাশে চান্দে মড়লের ভিটায় জামগাছের নিচু ডালে মসজিদের মুসল্লিরা মরদেহ ঝুলতে দেখে আব্দুল মতিন মিয়ার বাড়িতে খবর দেয়। সুরতহাল রিপোর্টকারী এস আই জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মেয়েটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অর্ধউলঙ্গ অবস্থায় জামগাছের নিচু ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ধর্ষিতার লাশের পাশেই তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া গেছে। ধর্ষিতার বাবা আব্দুল মতিন বলেন, আমার মেয়েডারে জানোয়ারের দল সর্বনাশ কইরা মাইরালাইছে। রাইতে মনে হয় বাথরুমে যাওয়ার পর শয়তানেরা আমার মেয়েডার সর্বনাশ কইরা মাইরা জামগাছে ঝুলাইয়া রাখছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করে নাই। আমি এর সঠিক বিচার চাই। ধর্ষিতার মা জুমেনা বেগম বলেন, যারা আমার এই মেয়েডারে সর্বনাশ করছে আমি হাসিনার কাছে তার বিচার চাই। কি দোষ করছিল আমার মেয়েডা আমি গরিব এইডাই আমার অপরাধ? যশরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম রিয়েল বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। দরিদ্র পরিবারের মেয়েটিকে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। যদি আত্মহত্যাই হতো তাহলে অর্ধউলঙ্গ থাকত না। গফরগাঁও থানা ওসি অনুকূল সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
×