ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকি আছে জেনেও সুপারশপে কেনাকাটায় ভিড়

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২৫ মার্চ ২০২০

ঝুঁকি আছে জেনেও সুপারশপে কেনাকাটায় ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের আতঙ্ক আছে, সেইসঙ্গে আছে প্রয়োজন মেটানোর তাগিদও। মানুষ নিত্যপণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন, তেমনি ভিড় করছেন সুপারশপগুলোতেও। সুপারশপে সব পণ্য একসঙ্গে পাওয়া যায় বলে মানুষের ভিড়ও বেশি সেখানে। মুখে মাস্ক থাকলেও জনসমাগম হয়ে যাচ্ছে বেশি। কেনাকাটা করে লম্বা লাইনে বিল পরিশোধ করাসহ প্রতি ঘণ্টার অসংখ্য মানুষের যাতায়াতের মধ্যে ঝুঁকিও থাকছে ক্রেতাদের। কেউ গুরুত্ব দিলেও কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। নোভেল করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে ছুটি ঘোষণার পর এবার গণপরিবহন, লঞ্চ ও ট্রেন চলাচল বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ট্রাক, কভার্ডভ্যান, ঔষধ, জরুরী সেবা, জ্বালানি, পচনশীল পণ্য পরিবহন- এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। তবে পণ্যবাহী যানবাহনে কোন যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। সারাদেশে সব ধরনের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল মঙ্গলবার থেকেই বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। একই দিন সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে ট্রেন যোগাযোগও। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে কয়েকদিন ধরেই দোকানে ভিড় করছেন। যদি অতিরিক্ত পণ্য না কেনার আহ্বান জানানো হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। মানুষ ধারণা করছেন খাদ্য সঙ্কট হতে পারে তবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ী মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছে দেশে খাদ্য পণ্য কোন সঙ্কট নেই অহেতুক বেশি কিনে মজুদ না করার আহ্বানও রয়েছে। এদিকে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঢাকা মহানগরের আওতাধীন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য ও ফার্মেসি ব্যতীত সব বাণিজ্য বিতান ও শপিংমল আজ বুধবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই সময়কালে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য মানুষ যেতে পারবেন সুপারশপগুলোতে। স্বপ্ন, মীনাবাজার এবং আগোরার মতো সুপারশপগুলো চালু থাকবে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিতে। ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির করোনা প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এক জরুরী সভায় বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় রবিবার। এই খবর প্রকাশের পর অনেক ক্রেতাই ভাবছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট তৈরি হবে এবং সুপারশপসহ বাজারে ভিড় আরও বেড়ে যায়। তবে মূলত সুপারশপগুলো দোকান মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয়। এছড়াও সুপারশপে যেহেতু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই থাকে তাই এগুলো বন্ধ হবে না বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশ সুপার মার্কেট ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন আগোরা, মীনাবাজার, স্বপ্ন, ইউনি মার্ট, প্রিন্স বাজার, ট্রাস্ট ফ্যামিলি, ক্যারে ফ্যামেলির মতো সুপারশপগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
×