ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক ডাঃ হারাধন দেবনাথ

করোনাভাইরাস ইনফেকশন ও তার প্রতিকার

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ২৪ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাস ইনফেকশন ও তার প্রতিকার

বর্তমান সময়ে করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত নাম। করোনা ভাইরাস প্রথমে চিহ্নিত হয় চিনের উহান সিটিতে। উহান সিটি চীনের হুবেই প্রদেশে অবস্থিত ডিসেম্বর ২০১৯ এর শেষ দিকে উহান সিটিতে নিউমোনিয়া প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস কভিড ১৯ নামে পরিচিত হয়। এই পর্যন্ত চীনে ৭৩৯৩৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সাড়া পৃথীবীতে সাড়ে তিন লক্ষাধিক আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজারেরও অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। হংকংয়ে ৭০, সিঙ্গাপুর ৮৫ জন, থাইল্যান্ডে ৩৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। তা ছাড়া ১৬ জন জার্মানিতে, ইতালিতে ৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন, ভারতে ৩ জন। বাংলাদেশে ২৭ জন চিহ্নিত হয়েছেন মারা গেছে ২ জন। সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫ জন। রোগীর লক্ষণ হলো শ্বাসনালী সংক্রামণ, জ্বর, কাশি, শাসকষ্ট, মাংশপেশী ব্যথা, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে রোগীর শাসকষ্ট হয় ও বুকে ব্যথা হয় এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। সেই সময় রোগীকে ভেন্টিলেটরে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হয়। রোগ প্রতিরোধের জন্য জনাকীর্ণ স্থানে না যাওয়া, গণপরিবহন বর্জন করা, বিদেশ ভ্রমণ যতটুক সম্ভব পরিহার করতে হবে। যেহেতু রোগটি শ্বাস-প্রশ্বাসের সাহায্যে ছড়ায় সেহেতু জনাকীর্ণ স্থানে ফেস মাক্স ব্যবহার করা, অসুস্থ ব্যক্তির পরিচর্যার পর হাঁচি, কাশি দেয়ার পর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান পানি দিয়ে ভালভাবে হাত দোয়া। হাত না ধুয়ে নাক, মুখে হাত না দেয়া। হাঁর্চি, কাশি এলে মুখে টিস্যু পেপার বা রুমাল দিয়ে অন্যদিকে ফিরে কাশি দেয়া। করোনা আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ করোনা আক্রান্ত হওয়ার মধ্যে মাত্র অল্প সংখ্যক রোগী মৃত্যুবরণ করেছেন। বার্ষিক সাধারণ ফ্লুতে বা সাধারণ ভাইরাসে বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যারা বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ তারাই বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। অধ্যাপক নিউরো সার্জারি বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×