ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইসে সংশোধনী

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ২৩ মার্চ ২০২০

 সব শেয়ারের ফ্লোর প্রাইসে সংশোধনী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ও ইউনিট দরের ফ্লোর প্রাইস (যে দরের নিচে নামতে পারবে না) গণনায় সংশোধনী এনেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। এর ফলে রবিবার প্রায় সব কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর সমন্বয় (এ্যাডজাস্টেড) করা হয়েছে। এর ফলে কিছু কোম্পানির দর ১০ শতাংশের ওপরেও বাড়ার ঘটনা ঘটছে। একই কারণে বেশিসংখ্যক শেয়ারের দাম কমার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৯ মার্চ বিএসইসির এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ওইদিন থেকে যে কোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না। তবে দাম বাড়ার সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু ডিএসই কর্তৃপক্ষ ওইদিন ওয়েটেড গড় পদ্ধতিতে শেয়ারের সমন্বিত দর নির্ধারণ করে। যেটা রবিবার স্বাভাবিক গড় হিসাব করে সংশোধনী এনেছে। ওইদিন ডিএসই সর্বশেষ ৫ কার্যদিবস বিবেচনায় ওয়েটেড গড় পদ্ধতিতে অন্যসব কোম্পানির ন্যায় গ্রামীণফোনের দর নির্ধারণ করে। যাতে এ কোম্পানির ওয়েটেড গড় দর দাঁড়ায় ২৩৫.৭০ টাকায়। কিন্তু স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গড় দর হয় ২৩৮.৮০ টাকা। আর এটাই সংশোধনী করেছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। যে কারণে রবিবার সব কোম্পানির শেয়ারে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। স্বাভাবিক গড় পদ্ধতিতে ১৯ মার্চের আগের ৫ কার্যদিবসের ক্লোজিং দর যোগ করতে হবে। এরপরে ওই দরকে ৫ দিয়ে ভাগ করে গড় দর নির্ণয় করতে হবে। যেমন- গ্রামীণফোনের ১৯ মার্চের আগের ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ১১ মার্চ ক্লোজিং দর ছিল ২৫৫.৫০ টাকা। এরপরে ১২ মার্চ ২৪৮ টাকা, ১৫ মার্চ ২৪১.২০ টাকা, ১৬ মার্চ ২২৯.৮০ টাকা ও ১৮ মার্চ ছিল ২১৯.৫০ টাকা। এই ৫ কার্যদিবসের যোগফল দাঁড়ায় ১১৯৪ টাকা। এই দর ৫ দিয়ে ভাগ দিলে গড় দর দাঁড়ায় ২৩৮.৮০ টাকা। এটাই হচ্ছে গ্রামীণফোনের গড় দর। এদিকে ডিএসই গড় দর গণনায় পরিবর্তন আনায় বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বাড়ার ঘটনা ঘটেছে। সংশোধনীর ফলে কোম্পানিটির গড় দর ২ টাকা থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২.৬০ টাকা। আর এই দরেই শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছে। ডিএসইর এক উর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, গত ১৯ মার্চ সব কোম্পানির দর ওয়েটেড পদ্ধতিতে গড় করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশে স্বাভাবিক গড় করা হয়েছে। যাতে সব কোম্পানির দরে সমন্বয় করতে হয়েছে। এ কারণেই ১০ শতাংশের বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের শেয়ারটি সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের গড় নির্ধারিত ২৩৮.৮০ টাকার নিচে নামবে না। তবে এই দরের ওপরে উঠা-নামা করতে পারবে।
×