ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ছবি তুলতে গিয়ে ফটোসাংবাদিক নিজেই কোয়ারেন্টাইনে

প্রকাশিত: ১৩:২২, ২২ মার্চ ২০২০

কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে ছবি তুলতে গিয়ে ফটোসাংবাদিক নিজেই কোয়ারেন্টাইনে

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গাজীপুরের পাবুর মা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের ছবি তুলতে যাওয়ায় বেসরকারী এক টিভি চ্যানেলের ফটো সাংবাদিককে শনিবার কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে, প্রবেশের নিয়ম না মেনে কাপাসিয়ার ওই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে প্রবেশ করে সেখানে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালিফেরতদের সংস্পর্শে গেলে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম শনিবার রাতে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) জানান, করোনাভাইরাসে ঝুঁকিপূর্ণ ইতালিফেরত সাতজনকে কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নের পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শনিবার বিকেলে চ্যানেল আইয়ের স্থানীয় ফটো সাংবাদিক রমজান আলী রুবেল (৩৫) কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে কেন্দ্রের ভেতরে ঢোকেন এবং কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকদের সংস্পর্শে যান। এতে তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয়। তাই তার স্বাস্থ্যঝুঁকি ও জনগণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য পুলিশের সহযোগিতায় এ্যাম্বুলেন্সযোগে শ্রীপুর থেকে কাপাসিয়ার মা ও শিশু কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাকে সেখানে ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং করোনাভাইরাস বিষয়ক সচেতনতামূলক পরামর্শও দেয়া হবে। গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ খায়রুজ্জামান জানান, করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ইতালি থেকে ফেরত ৪৪ বাংলাদেশী প্রবাসীকে ১৪ মার্চ মধ্যরাতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের পূবাইল এলাকার ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এদের মধ্যে দেহে লক্ষণীয় মাত্রায় জ্বর থাকায় দু’দফায় (১৫ মার্চ ৪ জন, ১৬ মার্চ ৪ জন) মোট ৮ জনকে অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানী উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় পাঠানো ওই ৮ জনের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে সেখান থেকে অপর ৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনের জন্য পুনরায় গাজীপুরে কাপাসিয়ার পাবুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়।
×