ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইন সাপোর্ট করলে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখা যেতে পারে

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ২২ মার্চ ২০২০

আইন সাপোর্ট করলে পুঁজিবাজার বন্ধ রাখা যেতে পারে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন যদি সাপোর্ট করে তাহলে আপাতত পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার মত দিয়েছেন বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং করণীয় শীর্ষক ভারচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মত প্রকাশ করেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, পুঁজিবাজারের সমস্যা অনেক আগে থেকেই। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অবস্থা আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তোলনে সরকার দুটো উদ্যোগ নিয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ২০০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন। আর একটি হচ্ছে নতুন করে সর্বনিম্ন দামের ওপর সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে বড় পতন ঠেকানো। এই দুটি উদ্যোগের কারণে আপতত পুঁজিবাজার নিম্নপর্যায়ে এসে থেমে আছে। কিন্তু পুঁজিবাজারের জন্য যে মূল সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলো সমাধানে উদ্যোগ না নেয়া হলে পুঁজিবাজারের অবস্থা ভাল হবে না। বাজারকে ভাল করতে প্রাথমকি গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেয়ার ক্ষেত্রে সংস্কার করতে বিও এ্যাকাউন্টগুলো সংস্কার, ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সংস্কার এবং সেকেন্ডরি মার্টেকে লেনদেনের ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এছাড়াও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, আইসিবি এবং এফআরসির কার্যক্রমের মান উন্নয়ন করতে হবে। যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নয়ন না করা যায় তবে উদ্যোগ দিয়ে খুব বেশি উপকার পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি করোনার কারণে দেশের অর্থনীতির যে স্থবিরতা রয়েছে তাতে সরকারের আইনগত দিক বিবেচনা করে কিছু কালের জন্য এর কার্যক্রম স্থগিত রাখার বিষয়টি দেখতে পারে। তবে এসব দিয়ে পুঁজিবাজারে সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য সম্ভব নয়। যদি না মূল সমস্যাগুলোর সমাধান না করা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ ফেলো অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির ফলে সরকার চলতি অর্থবছরের ৮ দশমিক ২ শতাংশের যে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তা না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি আমদানি-রফাতনি বন্ধ থাকায় বিজিএমইর শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কারখানাগুলোর মালিকেরা। তিনি বলেন, নিয়ম অনুসারে কোন সমস্যার মধ্যে পড়লে কারখানা মালিকদের পাশাপাশি বায়াররাও শ্রমিকদের ক্ষতি পোষাতে অংশগ্রহণ করে। স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সরকারীভাবে বায়ারদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার। পাশাপাশি রফতানির জন্য সরকার ১ শতাংশ হারে যে প্রণোদনা দেয় এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় শ্রমিকদের দিয়ে প্রয়োজন মেটাতে পারে সরকার।
×