ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান তামিমের

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২২ মার্চ ২০২০

করোনা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর আহ্বান তামিমের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেই ক্রিকেটারদের ব্যস্ততা। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সতর্কতায় বন্ধ রাখা হয়েছে সব ক্রিকেটীয় কর্মকা-। কেউ কেউ ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন চালিয়ে গেলেও দলগত অনুশীলন করছেন না ক্রিকেটাররা। দেশের আতঙ্কিত মানুষের প্রতি ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘করোনাভাইরাসে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। পরিষ্কার-পরিছন্ন থাকুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’ এছাড়াও তিনি মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানো পরিহারেরও অনুরোধ জানিয়েছেন। কোভিড-১৯ ভাইরাস উচ্চপর্যায়ের ছোঁয়াচে ক্ষমতার অধিকারী। এ কারণে জনসমাগম, পারস্পরিক সংস্পর্শ পরিহার করারই নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বশীল ও চিকিৎসকরা। এ ভাইরাসের বিষয়ে তামিম তার ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, বাংলাদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুটি ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, নিয়ম মেনে বারবার হাত ধুতে হবে। চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’ তবে করোনাভাইরাস নিয়ে আছে নানা গুঞ্জন ও আলোচনা। তাই অনেক তথ্যই অসত্যভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে যা আরও আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে কেউ মিথ্যা বা গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কানও দেবেন না। আমি ও আমার পরিবার সব নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করছি, আপনিও করেন। সবাই দায়িত্ব পালন করলে আমার বিশ্বাস আল্লাহর রহমতে করোনার সংক্রমণ থেকে রেহাই পাবই।’ এই ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশের সব মানুষেরই দায়িত্ব রয়েছে। ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে এবং মানুষের অসাবধানতার কারণেই কোভিড-১৯ ব্যাপক হারে বিস্তৃতি লাভ করেছে। তামিম আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। খুব প্রয়োজন না হলে বাসার বাইরে যাওয়া যাবে না, ভিড় থেকে দূরে থাকা আর বিভিন্ন অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলা উচিত। আমাদের নিজের জন্য, পরিবারের জন্য আর দেশের জন্য কিছু বিষয় বিসর্জন করতে হবে। বয়স্কদের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। প্রবাসী যারা দেশে ফিরেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ সব নিয়ম মেনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকুন।’
×