ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বন ধ্বংস করায় প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে’

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ২২ মার্চ ২০২০

‘বন ধ্বংস করায় প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, গাছ থেকে জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনসহ বিভিন্ন ধরনের সুফল পাওয়ার পরও প্রতি বছর বিশ্বে ১৩ মিলিয়ন হেক্টর বন ধ্বংস হচ্ছে। ফলে প্রকৃতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। সময় এসেছে নিজেদের বেঁচে থাকার স্বার্থেই প্রকৃতির সবুজ বন-বনানী রক্ষায় একযোগে কাজ করার। এ লক্ষ্যে গ্রামীণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে বনজ সম্পদ বৃদ্ধিতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। বনমন্ত্রী শনিবার ঢাকার আগারগাঁও-এর বন অধিদফতরে ‘বন ও জীববৈচিত্র্য মূল্যবান অতি, হারালে অপূরণীয় ক্ষতি’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বন দিবস-২০২০’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব জিয়াউল হাসান এবং অতিরিক্ত সচিব ড. বিল্লাল হোসেন ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বনমন্ত্রী বলেন, নার্সারি সৃজন, প্রান্তিক ও পতিত ভূমিতে বৃক্ষরোপণ করে বনজ সম্পদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ক্ষয়িষ্ণু বনাঞ্চল রক্ষা, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং দারিদ্র্য নিরসনে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সফল সামাজিক বনায়নের আবর্তকাল উত্তীর্ণ গাছ আহরণ করে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫শ’ ৬৪ জন দরিদ্র উপকারভোগীর মধ্যে ৩৫৬ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার ৫২২ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে এ পর্যন্ত ২ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন জেগে ওঠা উপকূলীয় চরে বন সৃজন করা হয়েছে। উপকূলীয় বন সৃজনসহ বৃক্ষরোপণ ও বন সংরক্ষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী উদ্যোগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বনমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার মন্ত্রণালয় এক কোটি গাছের চারা রোপণ করবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম এবং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে বর্তমানে দেশের বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দেশের মোট আয়তনের ২২.৩৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৪ শতাংশের বেশি উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বনমন্ত্রী বলেন, বন সেক্টরের প্রধান লক্ষ্য বনভূমির টেকসই ব্যবস্থাপনা এর ভিত্তিতে ‘ফরেস্ট ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ তৈরি। মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বন ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনাকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করে ৪৮টি এলাকাকে ‘রক্ষিত এলাকা’ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে বন রক্ষায় বন অধিদফতরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
×