ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান যোগাযোগ বন্ধ ॥ চার দেশ ছাড়া অন্য সবার সঙ্গে

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২২ মার্চ ২০২০

বিমান যোগাযোগ বন্ধ ॥ চার দেশ ছাড়া অন্য সবার সঙ্গে

নিখিল মানখিন/আজাদ সুলায়মান ॥ করোনাভাইরাসে দেশে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন চারজন। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দুই এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ জনে। ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকি ১৯ জন এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ৫০ জন এবং সারাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১৪ হাজার ২৬৪ জন। এদিকে চারটি দেশ ছাড়া দুনিয়ার সব দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার রাত বারোটা থেকেই ঢাকায় নামতে দেয়া হচ্ছে না এসব দেশের বিমান। পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটলে বিমানবন্দর শাটডাউন করার ঘোষণাও দিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী প্রস্তুত। প্রয়োজনে ডাকা মাত্রই তারা বিমানবন্দরে আসবে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের হাতে সিল মারা হচ্ছে যাতে তারা এলাকায় গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে শনাক্তকরণ অবস্থায় থাকতে পারেন। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় গঠিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেন, মারা যাওয়া করোনা রোগীটির বয়স ছিল ৭০ বছরের বেশি, শুক্রবার তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। বিদেশে থাকে এমন স্বজনের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র সচিব (জননিরাপত্তা) মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিমান সচিব মহিবুল হক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রমুখ। বিদেশফেরতদের বড় অংশ এখনও কোয়ারেন্টাইনে আনা যাচ্ছে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার বিদেশফেরতকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা সম্ভব নয়। তাই তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের অনেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। মার্চের আগে যারা এসেছেন, তাদের নিয়ে চিন্তা করছি না। তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দূর হয়ে গেছে। পহেলা মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত যারা দেশে এসেছেন, বিমানবন্দর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের তালিকার তথ্য নেয়া হয়েছে। আর তাদের ঠিকানা অনুযায়ী সেই সব নামের তালিকা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, আমাদের কাছে তথ্য দেননি, আত্মগোপন করেছেন। আর করোনা প্রতিরোধ কমিটিসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তালিকা অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনের বাইরে থাকা বিদেশফেরতদের খুঁজে বেড়াচ্ছেন। নমুনা টেস্টের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কিটের সঙ্কট নেই। বর্তমানে নমুনা টেস্টের সাতটি মেশিন চলছে। আরও আটটি মেশিন আনা হয়েছে। তবে এসব মেশিন স্থাপন করতে কিছু সময় লাগবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হাসপাতালগুলোর পাশাপাশি শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। বর্তমানে দেড় শ’ আইসিইউ ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য আরও ৪০০ আইসিইউ ইউনিট স্থাপন করা হবে। চিকিৎসকদের জন্য পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই), মাস্ক কয়েক লাখ এসেছে। প্রতিনিয়ত সংগ্রহ করছি। সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রয়োজনে চীন থেকে কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্স আনার বিষয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা প্রতিরোধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চলমান কার্যক্রম নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পুরো বিশ্ব আজ করোনায় আক্রান্ত। অন্যান্য দেশ থেকে আমরা তুলনামূলকভাবে ভাল আছি। তবে তা ভেবে বসে থাকতে চাই না। বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি দেখে বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে নতুনত্ব আনা হয়ে থাকে। বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রচার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, দেশবাসী আজ বিশেষ মুহূর্ত পার করছে । বাড়তি সতর্কতা হিসেবে গণজমায়েত বিশেষ করে সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক, ক্লাব, মদের বার, চিড়িয়াখানা। ইউরোপের এমন প্রস্তুতি ছিল না। সীমিত সময়ে আমরা সচেতনতা সৃষ্টিসহ সকলকে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করাতে পেরেছি। ফলে প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরালো ও কার্যকর হয়েছে। প্রয়োজনে বিমানবন্দর শাটডাউন খারাপ পরিস্থিতি বিবেচনা করেই চারটি দেশ ছাড়া দুনিয়ার সব দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার রাত বারোটা থেকেই ঢাকায় নামতে দেয়া হচ্ছে না চারটি দেশ ব্যতীত সব দেশের কোন ফ্লাইট। যদি পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে- তাহলে প্রয়োজনে বিমানবন্দর শাটডাউন করা হতে পারে। এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান। শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী প্রস্তুত। প্রয়োজনে ডাকা মাত্রই তারা বিমানবন্দরে আসবে। এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত যাত্রীদের হাতে সিল মারা হচ্ছে যাতে তারা এলাকায় গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে শনাক্তকরণ অবস্থায় থাকতে পারে। এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, সর্বশেষ শনিবার রাত থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে চারটি দেশ বাদে সব দেশের ফ্লাইট। এখন শুধু ব্যাঙ্কক, চীন, যুক্তরাজ্য, হংকংয়ের সঙ্গে বিমান চলাচল আছে। অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ রুটে যাত্রী আশা যাওয়া করছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে এই রুটের ফ্লাইটও বন্ধ করা হবে। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চার দেশ ও অঞ্চল বাদে সব আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। শনিবার রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। এ সময় তিনির জানান, দেশে করোনা বিস্তাররোধে ২১ মার্চ দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৩১ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে কোন সিডিউল আন্তর্জাতিকযাত্রীবাহী বাণিজ্যিক উড়োজাহাজকে কোন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার অনুমতি দেয়া হবে না। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসবে চীন, থাইল্যান্ড ও হংকংয়ের (ক্যাথে প্যাসিফিক) ফ্লাইট। এছাড়া সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কেবল যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নামবে। থাইল্যান্ড ও হংকং হয়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকেও তো যাত্রী আসতে পারে সেটা কিভাবে চেক দেয়া হবে দৈনিক জনকণ্ঠের এমন প্রশ্নের জবাবে এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে যে দেশগুলো মোটামুটি সেফ মনে করেছি, সেখান থেকে ফ্লাইটগুলো এ্যালাও করব, বাকি সব বন্ধ। বর্তমানে ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটে থাই এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলার দুটি ফ্লাইট চালু আছে। ইতোমধ্যে থাই লায়ন এয়ার, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই রুটে ফ্লাইট বন্ধ করেছে। তাছাড়া থাইল্যান্ড করোনা মোকাবেলায় খুবই কড়াকড়ি করছে। যদি কোন এয়ারলাইন্স এসব দেশ থেকে তাদের অনুমতি ছাড়া যাত্রী আনে তাহলে ওই এয়ারলাইন্সকে ব্ল্যাকলিস্ট করবে। এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে- তাদের হাতে সিল দিয়ে চিহ্নিত করছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সেই সিলে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে কত তারিখ পর্যন্ত থাকতে হবে তাও উল্লেখ করা হচ্ছে। অন্যদিকে যেসব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের বিমানবন্দর থেকেই সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। শুক্রবার রাত থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সম্পর্কে শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নেই তাদেরও বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এজন্য ইমিগ্রেশন শেষে সব যাত্রীর হাতে সিল দিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইংরেজীতে লেখা এই সিলে প্রথমেই লেখা রয়েছে ‘প্রাউড টু প্রোটেক্ট বাংলাদেশ’। তার নিচে লেখা ‘হোম কোয়ারেন্টাইন আনটিল’, এরপর দেয়া হচ্ছে কত তারিখ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে সেই তারিখ। অন্যদিকে বিদেশফেরতদের মধ্যে যাদের করোনার লক্ষণ দেখা যাবে তাদের বিমানবন্দর থেকেই সরাসরি সেনা তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রীনিং করে বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ। তারপর তাদের চিহ্নিত যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে, সেই নির্বাচিত ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। অনেক যাত্রী সিল মারা কালি বাইরে গিয়ে মুছে ফেলে বাড়ি ফিরছে এমন অভিযোগের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেলে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জানতে চাওয়া হবে। আমি যতটুকু জানি অমুছনীয় কালি দিয়েই সিল মারা হচ্ছে। এদিকে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চট্টগ্রামের শাহ আমানতেও একই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার ই জামান। তিনি বলেন, আমাদের নয় রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল করে। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে শনিবার রাত ১২টার পর থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নয়টি রুটের সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে। তবে নন-কমার্শিয়াল ফ্লাইট শাহ আমানতে আসতে পারবে, চালু থাকবে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারী। এ ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর আংশিক এ নিষেধাজ্ঞা জারি হলো। হটলাইন, মেল ও ফেসবুক স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ দেখা দিলে বা সন্দেহ হলে যোগাযোগের জন্য হটলাইন (৩৩৩, ১৬২৬৩) চালু করেছে আইইডিসিআর। তাতে ফোন করলে বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবেন আইইডিসিআরের কর্মীরা। কেউ চাইলে [email protected] ঠিকানায় ইমেল করে নিজের বক্তব্য জানাতে পারবেন। এছাড়া ফেসবুক গ্রুপ Iedcr,COVID-19 Control Room-এর ইনবক্সে সমস্যার কথা বলতে পারবেন।
×