অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনার প্রভাবে জোর ধাক্কা খেয়েছে চামড়া খাত। একের পর এক বাতিল হচ্ছে ক্রয়াদেশ। ফলে পণ্যের স্তুপ বড় হচ্ছে ট্যানারি ও কারখানাগুলোতে। একইসঙ্গে কমে গেছে উৎপাদনও। ব্যবসায়ীদের মতে, দীর্ঘদিনের রফতানি খরাকে আরও সঙ্কটে ফেলছে করোনা ইস্যু। যা থেকে উত্তরণের পথও খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ। এমন অবস্থায় সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ চান সংশ্লিষ্টরা।
সাভারে সরিয়ে নেয়ার পর থেকেই নতুন সঙ্কট শুরু হয় চামড়া খাতে। বন্ধ হয়ে যায় বহু ট্যানারি। কমে আসে উৎপাদন। কিন্তু সেই আগুনে এবার নতুন করে ঘি ঢাললো করোনাভাইরাস ইস্যু। দেশের ক্রাস্ট এবং ফিনিশড চামড়ার বড় গন্তব্য চীন। কিন্তু গত তিন মাস ধরে সে দেশে রফতানি প্রায় শূন্য। ফলে অবিক্রিত পণ্যের বিশাল স্তুপ তৈরি হয়েছে ট্যানারিগুলোতে। শিল্পনগরীর সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান এপেক্স ট্যানারির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, ক্রেতারা পণ্য না নেয়ায় স্তুপ ছাড়িয়ে গেছে ৭৫ হাজার বর্গফুট। চীন ছাপিয়ে করোনার উপকেন্দ্র এখন ইতালি। যে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ শক্ত। বিশেষ করে রফতানি এবং প্রবাসী আয়ের বড় যোগানদাতা ইউরোপের ওই দেশটি। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসা করা জয়নাল আবেদীনও এখন দারুণ দুশ্চিন্তায়। কারণ নেতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে পড়তে শুরু করেছে তার ব্যবসায়।
