ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইংল্যান্ডকে ক্যারিবীয় দ্বীপে খেলার প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৮:২২, ২১ মার্চ ২০২০

 ইংল্যান্ডকে ক্যারিবীয় দ্বীপে খেলার প্রস্তাব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী জুনের শুরুতেই ইংল্যান্ড সফরে আসার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের। কিন্তু এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। তাই জুনের সেই ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি পিছিয়ে যেতে পারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) প্রস্তাব দিয়েছে ক্যারিবীয় দ্বীপে গিয়ে সিরিজটি খেলতে। এছাড়া ৩০ জুলাই থেকে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩ টেস্টের যে সিরিজ রয়েছে ইংল্যান্ডের সেটিও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে খেলার প্রস্তাব দিয়েছে সিডব্লিউআই। আগামী জুনে ইংল্যান্ডে এসে ৩ টেস্টের সিরিজ খেলার কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওভালে ৪ জুন প্রথম টেস্ট মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের গ্রীষ্মকালীন ঘরোয়া মৌসুমও স্থগিত হয়ে যাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে করোনা প্রভাবের এই পরিস্থিতি সামলে উঠতে জুন মাস এসে যাবে। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা মাফিক সময়ে টেস্ট সিরিজ মাঠে গড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেছে। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে ইসিবি ও সিডব্লিউআই কয়েক দফা আলোচনা করেছে। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় উভয় বোর্ড যে কয়েকটি বিকল্প চিন্তা করেছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে সিরিজ পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে করা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ খেলা। সিডব্লিউআই এই সিরিজের আয়োজক হওয়ার জন্য ইসিবির কাছে প্রস্তাব রেখেছে। এমনকি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আয়োজনের প্রস্তাবনা দিয়েছে সিডব্লিউআই। ইংল্যান্ড-পাক ৩ টেস্টের সিরিজ আগামী ৩০ জুলাই মাঠে গড়ানোর কথা ইংল্যান্ডের মাটিতে। এই মুহূর্তে ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে সেভাবে করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তার লাভ করেনি। ইংল্যান্ডে যখন মহামারী আকার ধারণ করেছে, তখন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের বার্বাডোজ, সেন্ট লুসিয়া ও এন্টিগুয়াতে মাত্র ১ জন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিডব্লিউআই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনি গ্রেভ বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমি বেশ কয়েকবার টম হ্যারিসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে নিশ্চয়তা দিয়েছি যে আমরা এক্ষেত্রে যথেষ্ট শিথিলতা দেখাব এবং যতদূর সম্ভব সমর্থন ও সহায়তা দেব। যদি সহায়ক হয় সেক্ষেত্রে আমরা প্রস্তাব করেছি ক্যারিবিয়ানে সিরিজ দুটি আয়োজনের।’ এক্ষেত্রে ইসিবিই সবধরনের বাণিজ্যিক ও সম্প্রচার স্বত্বের অধিকার ধরে রাখবে বলেও জানিয়েছেন জনি গ্রেভ। তবে সিডব্লিউআইয়ের এ প্রস্তাবে সাড়া না দিলে ইসিবি সেপ্টেম্বরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ঘরের মাটিতে খেলবে। ওই সময় আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধেও ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে ইংল্যান্ডের। সেক্ষেত্রে হয়তো একই সঙ্গে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টেস্ট দল আলাদা আলাদাভাবে মাঠে নামবে। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও নিজেদের মাটিতে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা রয়েছে। ৮ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ওয়ানডে ও ৩ টি২০ এবং ২৩ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২ টেস্ট ও ৫ টি২০ খেলার কথা ক্যারিবীয়দের। কিন্তু আর্থিকভাবে সিডব্লিউআইয়ের কাছে বেশি লাভজনক ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজটি। সে কারণে বাকি দুই সিরিজের সূচী তারা প্রয়োজনে পুনঃনির্ধারণ করবে।
×