মোমিন রোড
স্বপ্নের আলিঙ্গনে ঘর্মাক্ত মোমিন রোড। সামনে মৃদঙ্গের খড়িমাটি।
নাচে সুরভি শোভিত কবি-চিৎকার। আলাপনে সুপ্ত হয় সন্ধ্যাডোবা।
নেমে আসে চুলখোলা তৃষ্ণাময়ী দিগন্তের নিঃশ্বাস। লতিয়ে ওঠে রাত;
ছড়ায় ঘ্রাণ। ছন্দের বর্হিভাগে স্নান সেরেই- পালা করে প্রজ্ঞা - কুঠি ভাঙ্গে।
আহা রে! কার দীপ্তদাহে উগড়ে দেয় প্রণামি...
শ্রীময়ীর দিনযাপন
শ্রীময়ীর গোপন সুন্দর ফুটেছে। জড়ো করেছে থৈ থৈ প্রহর। চুমকি
হাওয়া ধেয়ে আসছে ঝিলমিল জোয়ারে; সুরলিপ্ত জ্যোৎস্না গানের গর্ভে
ভেঙেছে অশুচি। আত্মা বন্দী স্বতন্ত্র খতিয়ানটি ঝাঁপিয়ে পড়েছে গমকে।
নকশাকাটা উৎসব দক্ষিণাবাদ্যে ছেয়ে গেছে বার বার। ক্লান্তি পালানো সব তোলপাড়
ঘাটি গড়েছে। আরাধনার ঝিলিকে মত্ত কালচক্র যেন...
মজলিশ
অপ্রতিম মজলিশ। সুরে মাখা দাউ দাউ অঞ্জলির পূর্ণিমা তবলায় বিদ্ধ।
অদৃশ্য দুলুনি উচ্ছ্বাসে অধির। বন- উপবন আবেগে কাঁপে। বাজিমাত করে —
কামিনীকাঞ্চন। চমকায় নমকায় অন্তরের ফাল্গুন। কান্তিময়ী পায়চারি স্বস্তির
আবহে সর্বোপরি সফল বটে; সব লেনদেন মায়াবন পেরিয়ে জ্বালাই
মোহরমাখা বসন্তের শিহরণটুকু।
আশ্রয়
চৈতিবেগমের মতো চৈতালি হাওয়া নেচেই চলে ,
বদলে যায় জীবন। সনাতন মায়ামোহে
দীর্ঘশ্বাস নেই; দূরে বাকবাকুম হৃদয়
পুনর্জন্মের ঘোরে লাফিয়ে পড়ছে শেষতক। শোনাচ্ছে
স্বত্ব উদযাপনের অনন্ত আশ্রয়।
বইমেলা
বইমেলা তুমি ফাউজুল কবির। নতুন ঢেউয়ে ভেসে আসা সনেটগুচ্ছ।
জেগেছে চাঁদ- পোশাকে দিগন্ত জ্যোতি। ‘বিভা’ রচিত কত শত জহিরসন্ধ্যা।
আবার কুয়াশা কাঁপনে ভরে ওঠা নিজস্ব দ্রবণের ইশারা। ওই যে কোকিল
ডাকা উপকারিতা বারবার ফিরে আসা মেলাপ্রাঙ্গণে। ঢলে পড়ে না ক্লান্তিহীন
অলংকার; উজ্জ্বলতর ক্ষণে শোনায় সদ্য প্রস্ফুটিত রাতের সনেট।
শীর্ষ সংবাদ: