স্টাফ রিপোর্টার ॥ র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেছেন, বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে আদেশ পেলে র্যাব ব্যবস্থা নেবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা জানান। বিদেশ থেকে আসার পর বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা র্যাব পেয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, প্রকৃতপক্ষে আমরা কোন নির্দেশনা এখনও পাইনি। তবে এমন নির্দেশনা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। করোনা মোকাবেলায় বিদেশ থেকে আসার পর নির্দিষ্ট এলাকায় রাখার ক্ষেত্রে নির্দেশনা পেলে অবশ্যই র্যাব কাজ করবে।
র্যাবের মিডিয়া উইং পরিচালক জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়ম অনেকে মানছেন না। বাইরে থেকে দেশে ফেরা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আমরা নজরদারি করছি। আদেশ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। র্যাবের বাহিনী মাঠে কাজ করছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, র্যাবের কাজই হচ্ছে মানুষের সেবা করা। এ জন্য নিজেদের সুরক্ষা আগে জরুরী। সেজন্য প্রত্যেককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বিশেষ ছুটি যেন কেউ ভোগ না করেন। কেউ ছুটিতে থাকলে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা চেক করা হচ্ছে। মাস্ক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সব নিয়ম মানতে বলা হয়েছে। করোনাকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং গুজব ছড়ালে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, বাজারে কিছু স্পেসেফিক পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে ও দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাফস, হ্যান্ড পরিষ্কারকের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা দেশের সাত স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। আমরা ৪৫ লাখ টাকার ওপরে অসাদু ব্যবসায়ীদের জরিমানা করেছি। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে দেখছি যে, কিছু গোষ্ঠী বা লোক করোনাকে পুঁজি করে নেগেটিভ বা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, প্রচার করছেন, যা গুজবের সৃষ্টি করছে। আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আমরা ২-৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। আরও অনেকে নজরদারিতে রয়েছেন। র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল ও র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের মনিটরিং সেল সার্বক্ষণিক মনিটর করছে। বাড়াবাড়ি করলে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।