ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:১২, ২০ মার্চ ২০২০

উবাচ

আল্লাহর রহমতে স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা আতঙ্কে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আর ঢাকা-১০ এর উপ-নির্বাচন স্থগিত হবে কি না তাই নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে নির্বাচন কমিশন মনে করছে সাংবিধানিক বাধ্যবাকতার কারণে নির্ধারিত দিনে নির্বাচন হওয়া জরুরী বিষয়। পশ্চিমবঙ্গ সেখানের স্থানীয় নির্বাচন বন্ধ করেছে। কিন্তু দেশে মানুষের জীবন রক্ষার চেয়ে সংবিধান রক্ষা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারে হাজার হাজার মানুষ জড় হচ্ছেন। আর করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথম যে কাজটি করা দরকার তা হচ্ছে মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলা। নির্বাচন কমিশন অবশ্য ভোটের আগে পরে হাত পরিষ্কার করে ভাইরাস ধ্বংস করার ব্যবস্থা রেখেছে। কিন্তু ভোট হলেই মানুষ জড় হবে। আর সেই মানুষের মধ্যে থেকে যদি করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে তখন কি হবে সেই প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, আমরা নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আল্লাহর রহমতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দূর হয়ে যাবে। করোনা দল চেনে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে করোনাভাইরাসকে চাইনিজ ভাইরাস বলে উল্লেখ করায় ক্ষেপে গিয়েছিল চীন। কঠোর ভাষায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর বক্তব্যর সমালোচনা করেছিল। করোনাভাইরাস নিয়ে শুধু বিশ্ব নেতারা নয়, দেশের নেতারাও ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বক্তব্য দিতে ছাড়ছেন না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা না আপনারা করোনায় আক্রান্ত। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, করোনাভাইরাস কোন দল চেনে না। খালেদা জিয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে। তিনি অসুস্থ। তিনি যদি এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয় পড়েন, তখন কী হবে? যদিও এখন দেশে সব থেকে নিরাপদ অবস্থায় রয়েছেন খালেদা জিয়া। বলা হচ্ছে করোনা প্রতিরোধে ঘরের থেকে বের হওয়া যাবে না। মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করা যাবে না। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তিনি সকলের থেকে পৃথক থাকতে পারছেন। অন্তত করোনা তাকে স্পর্শ করবে না। সচেতন কামরান স্টাফ রিপোর্টার ॥ যুক্তরাজ্যে এক শ’র উপর লোক করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। ছবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব কাছাকাছি অবস্থানে দেখা গেছে কামরানকে। সরকার যখন বিদেশ ফেরত সবাইকে ১৪ দিন আলাদা থাকতে বলছেন সেখানে কামরান কেন বের হয়ে আসলেন। তাও আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এত কাছাকাছি! এ প্রসঙ্গে কামরান বলেন, আমি ইনশাল্লাহ শতভাগ নিশ্চিত যে এই ধরনের রোগে আক্রান্ত না। কারণ তারা (স্বাস্থ্য বিভাগ) যে ফরম দিয়েছে তা ফিলআপ করে দিয়েছি। আর সিলেট এয়ারপোর্টে নামার পর তারা আমাকে চেকআপ করে দেখেছে। আর ওই ধরনের রোগের উপসর্গ যেটা, এগুলো কিছুই আমার মধ্যে নেই। আমি তো একদম আনকনশাস মানুষ না। আমি অনেকটা সচেতন। আমি যদি বিন্দুমাত্র এটা টের পেতাম লন্ডন থাকা অবস্থায়, তাহলে হয় আমি দেশে আসতাম না, আর দেশে এলেও অন্য কোথাও মিশতাম না। আমি ইনশাল্লাহ আশাবাদী, আমার শরীরের যে অবস্থা, তাতে আমি পুরোপুরি সুস্থ বলতে পারি। যে কারণে বিষয়টাকে আমি এভাবেই দেখছি। তাহলে সারা বিশে^ করোনা আক্রান্তদের সকলে কি অসচেতন। তারা কি কিছু জানে না বোঝে না বলেই তাদের করোনা হয়ে গেল?
×