ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে আইনী ব্যবস্থা ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:১২, ২০ মার্চ ২০২০

করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে আইনী ব্যবস্থা ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ করোনা ভাইরাস নিয়ে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দেশের টেলিভিশন নাট্যাঙ্গন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অভিনয়শিল্পীরা আগামী ২২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্যপরিচালক মামুনুর রশীদ। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড, নাট্যকার সংঘ, অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়টি জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মামুনুর রশীদ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে যে, ইউনাইটেড হাসপাতালের চারজন ডাক্তার আক্রান্ত হয়েছেন। এটা পুরোপুরি গুজব। জনগণকে এ ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, দেশবাসীকে অনুরোধ জানাব, কেউ এ নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। গুজব ছড়িয়ে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করলে সরকার আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। শাটডাউন করার পরিকল্পনা আছে কি-না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় করোনাভাইরাস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কী করণীয় সে বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন মন্ত্রী-সচিবরা। শাটডাউনের বিষয়ে অবস্থার প্রেক্ষিতে যেকোন ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। এ মুহূর্তে কোথাও শাটডাউনের সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রয়োজন হলে সেটি যেকোন জায়গায় হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ব্যাপক প্রবাসী চলে এসেছেন, শত শত হাজিরও আছেন। তারা এসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের মধ্যে কারো যদি করোনা থাকে তাহলে তো সংক্রমণ হবে। এ সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে। তবে আজকের একনেকের বৈঠকে এগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি বলেন, যেখানে করোনার উৎপত্তি, সেই চীনা এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। আমাদের দেশেও সরকারের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ১ কোটির বেশি মানুষ বিদেশে থাকে। ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে আমাদের অনেক নাগরিক থাকে। অনেকে করোনার কারণে দেশে এসেছেন, অনেকে এসে কোয়ারেন্টাইন মানেননি। তাই সরকার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। মুজিববর্ষের সব প্রস্তুতি থাকলেও অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। আমাদের দলীয় সভা-সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে। আজ অভিনয়শিল্পী-নির্মাতাদের সংগঠনের নেতাদের ও তাদের কর্মবিরতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অভিনয়শিল্পীদের কর্মবিরতি ॥ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অভিনয়শিল্পীরা আগামী ২২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্যপরিচালক মামুনুর রশীদ। বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড, নাট্যকার সংঘ, অভিনয়শিল্পী সংঘের নেতারা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বিষয়টি জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় কয়েক হাজার কর্মী কাজ করছেন। কিন্তু বর্তমানে করোনাভাইরাসের জন্য চারদিকে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সে কারণে আমরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার কথা ভাবছি। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে এসেছিলাম। কারণ আমাদের অনেক কিছুই বিবেচনায় আনতে হয়। আমরা যদি এখন কাজ বন্ধ করে দেই তাহলে টেলিভিশনের স্বাভাবিক অনুষ্ঠানমালা বিঘিœত হবে। মামুনুর রশীদ বলেন, আমাদের মিডিয়ায় প্রচুরসংখ্যক কর্মী রয়েছেন, যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের কথাও বিবেচনায় আনতে হবে। তবে আমরা যেটা ভাবছি সেটা হচ্ছে আগামী ২২ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাব। ১৩টি সংগঠন আমাদের সঙ্গে রয়েছে। তিনি বলেন, বাকি সংগঠনগুলো যদি অনুমোদন করে তাহলে আমরা ২২ তারিখ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত কর্মবিরতিতে যাব। তারপর কী হবে সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
×