ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সান্তাহারে নির্যাতিত সেই গৃহবধূর ক্ষতস্থানে পচন

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২০ মার্চ ২০২০

সান্তাহারে নির্যাতিত সেই গৃহবধূর ক্ষতস্থানে পচন

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ১৯ মার্চ ॥ বগুড়ার সান্তাহার শহরের তিয়রপাড়া মহল্লায় গরুতে কয়েক থোকা ধান গাছ খাওয়ার সামান্য ঘটনায় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির নির্মম নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধূ রানী বেগমের শরীরের ক্ষতস্থানের ত্বকে পচন ধরেছে। দগদগে ক্ষতের অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে কারতাচ্ছে হাসপাতালের বিছানায়। থানায় অভিযোগ দেয়ার ৫ দিনেও পুলিশ ওই প্রভাবশালীকে আটক বা গ্রেফতার করেনি। বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধর্ষণ মামলায় সাজা ভোগ করা এবং এলাকায় নির্যাতনকারী হিসেবে পরিচিত মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু নামের সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি। জানা গেছে, শহরের ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তিয়রপাড়া মহল্লায় থাকা পুকুরে মাছ এবং নিজের জমি ছাড়াও সরকারী জমিতে ধান চাষ করেন। শনিবার সকালে ওই মহল্লার দরিদ্র জসিম উদ্দিনের শিশু ছেলে রাসেল তাদের গরুকে ঘাস এবং কচুরিপানা খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায় সেখানে থাকা খালপাড়ে। অসাবধানতা বশতঃ গরু লাভলুর চাষ করা ধান খেতের কয়েক থোকা ধান খায়। এটা দেখতে পেয়ে লাভলু ওই শিশুকে দাবড়িয়ে বেদম মারপিট করতে থাকে। ছেলের চিৎকারে এগিয়ে যায় মা রানী বেগম (৩৬)। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে প্রভাবশালী লাভলু। সে রানী বেগমকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে। পরে পাড়া-প্রতিবেশীরা রানী বেগমকে উদ্ধার করে আদমদীঘি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে রবিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগটি আমলে নেয়া হয়েছে কি-না সেটি জানে না নির্যাতিত গৃহবধূ রানী বেগম। বৃহস্পতিবার উপজেলা হাসপাতালে আলাপকালে তিনি জানান, শুনেছি মঙ্গলবার পত্রিকায় খবর ছাপা হওয়ার পর পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে থাকায় দেখা ও কথা হয়নি। এর পর পুলিশ কি ব্যবস্থা নিল তা জানি না। সরেজমিন এলাকাবাসী জানান এ রকম সামান্য ঘটনায় ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি ইতোপূর্বে হারেজ আলীর স্ত্রীসহ ৫/৬ জনকে নির্যাতন করেছে। পিটিয়ে মেরেছে গবাদি পশু। ওই প্রভাবশালীর ভয়ে হারেজ আলীর স্ত্রী এলাকা ছাড়া। ওই এলাকার প্রদীপ ভৌমিক, বাদশা, জাহাঙ্গীর আলম চায়নাসহ অনেকে বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান লাভলু ওই মহল্লার এক দরিদ্র নারী ধর্ষণ মামলায় জেলহাজত থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
×