ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় বদলে গেল ফ্রেঞ্চ ওপেনের সূচীও

প্রকাশিত: ১১:৪১, ১৯ মার্চ ২০২০

করোনায় বদলে গেল ফ্রেঞ্চ ওপেনের সূচীও

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরও আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে খেলাধুলোর ওপরে যে রকম প্রভাব পড়েছে তাতে বাতিল কিংবা পিছিয়ে যেতে পারে ফরাসী ওপেন। যা শুরু হওয়ার কথা ছিল মে মাসের শেষের দিকে। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কাটাই বাস্তবে পরিণত হলো। ফরাসী ওপেনের আয়োজকরা মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সঠিক সময়ে হচ্ছে না মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্ট। বরং মে মাসের বদলে এ মৌসুমের দ্বিতীয় মেজর টুর্নামেন্ট ফ্রেঞ্চ ওপেন শুরু হবে সেপ্টেম্বরে। চলতি মৌসুমে টেনিস দুনিয়ার ওপরে করোনার প্রভাব কতটা পড়বে তা নিয়ে কয়েকদিন ধরে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে ফেলা হলো এ ব্যাপারে। জানানো হয়েছে এবার ফরাসী ওপেন শুরু হবে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। পূর্বের সময়সূচী অনুযায়ী মে মাসের ২৪ তারিখ শুরু হওয়ার কথা ছিল প্যারিসের এই মর্যাদাপূর্ণ টেনিস টুর্নামেন্ট। শেষ হওয়ার কথা ছিল ৭ জুন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ভয়ঙ্করভাবে রূপ নেয়া করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতির কারণে সূচী পরিবর্তন করেছে তারা। এ ব্যপারে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে মে মাসে ফরাসী ওপেন শুরু করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাব গোটা বিশ্বে পড়েছে। তাই এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত সবার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার কথা ভেবে ফরাসী টেনিস সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২০ মৌসুমে প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেয়া হবে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত হবে এবারের প্রতিযোগিতা।’ কয়েকদিন আগেই ডব্লিউটিএ ঘোষণা করেছিল পেশাদার ট্যুর ২ মে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। যার ফলে তিনটি প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে গেছে। এখন পিছিয়ে গেল ফ্রেঞ্চ ওপেন। তবে করোনা হানায় যেভাবে একের পর এক প্রতিযোগিতা বাতিল বা পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উইম্বলডন ঠিক সময়ে আয়োজন করা যাবে কি না তা নিয়েও। উইম্বলডনের এক মুখপাত্র ইংল্যান্ডের মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রতিযোগিতা বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।’ যদিওবা অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানায়নি। তবে এমন সিদ্ধান্ত সবার স্বার্থেই নেয়া হয়েছে। প্যারিসের আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘২০ এপ্রিল পর্যন্ত সবধরনের পেশাদার টেনিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সবার সুস্বাস্থ্য ও নিরাপদ থাকাকে সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি আমরা।’ তবে ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশনের নতুন সময়সূচী নিয়ে বেশ সমালোচনাও শুরু হয়েছে। তাদের নির্ধারিত নতুন সময়সূচীতে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম এখন বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম ইউএস ওপেনের সপ্তাহ খানেক পরে আয়োজিত হতে যাচ্ছে। যা বাকি টুর্নামেন্টগুলোর সময়সূচীর সঙ্গেও সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে। ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশনের এমন সময়সূচী ঘোষণার পর বেশ খেপেছেন তরুণ কানাডিয়ান টেনিস তারকা ভ্যাসেক পসপিসিল। টুইটারে এক বার্তায় ভ্যাসেক বলেন, ‘এটি একটি পাগলামি, সময় পাল্টে ইউএস ওপেনের ঠিক এক সপ্তাহ পরে টুর্নামেন্ট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোলাঁ গ্যাঁরো। কিন্তু কোন খেলোয়াড়, এটিপির সঙ্গে তারা কোন প্রকার যোগাযোগই করেনি। এই খেলায় আমাদের কথা বলার সুযোগ থাকে না। তাই এখনই সময়।’ মহিলা এককে ফ্রেঞ্চ ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন এ্যাশলে বার্টি। গত মৌসুমে এই টুর্নামেন্ট জিতেই ক্যারিয়ারের প্রথম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেও উঠে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়। অন্যদিকে পুরুষ এককের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাফায়েল নাদাল। গত মৌসুমে এই টুর্নামেন্টের ১২তম মেজর শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন স্প্যানিশ টেনিসের এই কিংবদন্তি।
×