ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম

প্রকাশিত: ১১:১১, ১৯ মার্চ ২০২০

করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে দেশের বিভিন্নস্থানে দফায় দফায় চালের দাম বাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি কেজি চালের দাম প্রকারভেদে তিন থেকে চার টাকা বেড়েছে। উত্তরাঞ্চলের প্রধান চালের আড়ত দিনাজপুর ও নওগাঁ জেলা। এখানকার ব্যবসায়ীরাই মূলত সারাদেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। বড় বড় আমদানিকারকরা শতকরা ৫৫ টাকা হারে ভ্যাট প্রদান করে চাল আমদানি বন্ধ রেখেছে দীর্ঘদিন ধরে। ব্যবসায়ীরা বললেন, করোনার বিরূপ প্রভাবে ভারত, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের চালের বাজার বাড়তে শুরু করেছে। সে কারণে আমাদের দেশে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার। রাজুমোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ কুড়িগ্রামের শহর ও গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে চালের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। চালের দাম প্রতিকেজি প্রকারভেদে তিন থেকে চার টাকা বেড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছে, হাইব্রিড মোটা চাল এক সপ্তাহ আগে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বর্তমানে ২৮ থেকে ৩০ কেজি দরে, গুটি স্বর্ণা চাল ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বর্তমানে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে, স্বর্ণা চালের দাম ছিল প্রতিকেজি ৩১ থেকে ৩২ টাকা বর্তমানে ৩৮ থেকে ৩৯ টাকা কেজি দরে, ২৮ জাতের চাল প্রতিকেজি ৩২ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে ৪০ থেকে ৪১ টাকা কেজি দরে, মিনিকেট চাল ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে উত্তরাঞ্চলের প্রধান চালের আড়ত দিনাজপুর ও নওগাঁ জেলা। এখানকার ব্যবসায়ীরাই মূলত সারাদেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। তাদের ঘরেও চাল শূন্য হয়ে পড়েছে। এখানকার বড় বড় চাল আমদানিকারকরা সরকারের শতকরা ৫৫ টাকা হারে ভ্যাট প্রদান করে চাল আমদানি বন্ধ রেখেছে দীর্ঘদিন থেকে। ব্যবসায়ীরা বলছেন করোনার কারণে সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এর প্রভাব ভারত, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের চালের বাজারগুলোতে পড়তে শুরু করেছে। যে কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা বলছে গত আমান মৌসুমে সরকার ৬ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করেছে। সংগ্রহ অভিযান বন্ধ রয়েছে। দু মাস আর ধান অথবা চাল সংগ্রহ হবে না। বর্তমানে ধানের বাজারও বেড়ে গেছে। নতুন ধান না উঠা পর্যন্ত ধানের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। কিছু বড় গৃহস্থ ছাড়া অধিকাংশ কৃষকের ঘরে ধান নেই। বর্তমানে প্রতি মণ ধান ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হচ্ছে। তাও নিয়মিত ধান পাচ্ছে না স্থানীয় মিল চাতাল ব্যবসায়ীরা। অধিকাংশ চাতাল এখন বন্ধ রয়েছে। তবে অটো চালের মিলগুলো চলছে ধীর গতিতে। এতে বাজারে চালের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে এসেছে। কুড়িগ্রাম শহরের একজন চাল ব্যবসায়ী জানান চালের দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জেলা খাদ্য বিভাগ সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে চালের সরবরাহ শুরু করেছে গত ১ মার্চ থেকে। খুব তাড়াতাড়ি ও এমএসের মাধ্যমে চাল বিতরণ শুরু হবে। যদিও এর প্রভাব খুব একটা বাজারে পড়বে না বলে মনে করেন ওই ব্যবসায়ী। নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝালকাঠি ॥ করোনাভাইরাসের কারণে সকল ধরনের পরিবহন বন্ধ করে দেবে এই ধরনের গুজবে মানুষ চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস বেশি পরিমাণে ক্রয় করছে। এই সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ীরা চালের বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
×