ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শফিউলের ১৮ দফা নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১১:০৮, ১৯ মার্চ ২০২০

শফিউলের ১৮ দফা নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘দশে মিলে গড়ব, ঢাকার গর্ব; ঢাকা ১০’ এই স্লোগানে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ১৮ দফা নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিগত দিনের ঢাকা ১০ আসনের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে জনগণের সেবক হয়ে সেবা করার। বুধবার ধানম-িতে শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়ক আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান ছাড়া অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ধানম-ি থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোর্শেদ কামাল, সমন্বয় আশরাফুল ইসলাম মারুফ, দফতর সমন্বয়ক প্রলয় সমাদ্দার বাপ্পি, উপনির্বাচনের কর্মসূচী ও যোগযোগ সমন্বয়ক মিজানুল ইসলাম মিজু, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে মশিউল আলম সজলসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমি রেডিমেড গার্মেন্টস সেক্টর (আরএমজি) খাতে নেতৃত্ব দিয়েছি। এফবিসিসিআই সভাপতি ছিলাম, পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। বিগত দিনগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথাও উল্লেখ করেন মহিউদ্দিন। সেই সঙ্গে এই উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে যেতে ১৮ দফা কার্যক্রমও তুলে ধরেন। ঢাকা ১০ আসনকে ঢাকার গর্ব রূপে প্রতিষ্ঠা করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ঢাকা ১০ আসনের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে ১৮ দফা কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে মহিউদ্দিন বলেন, ১৮ দফা কর্মপরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে, নির্বাচনী এলাকায় যানজট নিরসনে মেট্রোরেল সংযোগ ধানম-ি ২৭ নম্বর থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি হয়ে নিউমার্কেট পর্যন্ত নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি রাস্তা প্রশস্ত করার চেষ্টা করব। জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর গ্রহণ করা জিরো টলারেন্স নীতি অটুট রাখব। আমাকে নির্বাচিত করলে এ সম্পর্কিত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রধানতম শক্তি আমাদের যুব সমাজ। এই যুবসমাজের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এখন সময়ের দাবি। এই দাবি পূরণে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ। শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করব। অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালু করব। কর্মপরিকল্পনায় আরও বলেন, এলাকার প্রতিটি স্থানে নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা যাতে নিশ্চিত হয় সেজন্য সরকারী হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়নের পাশাপাশি আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে (যা বর্তমানে ৫০ শয্যা) ১০০ শয্যায় উন্নীত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করব। নির্বাচনী এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সুবিধাসম্পন্ন মডেল আবাসিক এলাকায় তৈরি করতে সচেষ্ট থাকব। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে রাস্তা পারাপার অত্যাধুনিক ফুটওভারব্রিজ বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকব। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন সড়কের পাশে গাড়ি পার্কিং এবং আধুনিক পার্কিং স্পেস তৈরির চেষ্টা করব। এছাড়া তিনি আরও প্রতিশ্রুতি দেন, ঐতিহ্যবাহী নিউমার্কেটের ঐতিহ্য অক্ষুণœ রেখে আধুনিকায়ন করতে চেষ্টা করব। ঢাকায় অবস্থিত ক্লাবগুলোর আধুনিকায়ন করতে চেষ্টা করব। জনসাধারণের বিনোদনের জন্য আধুনিকায়নের মাধ্যমে পার্কের চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করতে সচেষ্ট থাকব। ধানম-ির রবীন্দ্র সরোবরে আরও আধুনিকায়ন করা হবে যাতে বিনোদনের এই স্থানগুলোতে সাংস্কৃতিক কর্মকা- সুন্দরভাবে পরিচালিত হতে পারে। নীলক্ষেত মার্কেট ক্রেতা ও বিক্রেতাবান্ধব করতে সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আধুনিকায়ন করা জরুরী। সে পদক্ষেপ নিতে চাই। কাঁঠালবাগান, হাজারীবাগসহ যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় তা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচনের জন্য জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। জিগাতলা থেকে হাজারীবাগ হেয়ে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্তকরণের চেষ্টা করব। সর্বোপরি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।
×