ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সার্বক্ষণিক সতর্কতা

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ১৯ মার্চ ২০২০

সার্বক্ষণিক সতর্কতা

করোনাভাইরাস, নভেল ভাইরাস, কোভিড নাইটিন নামক যে ভাইরাস বাংলাদেশে ঢুকেছে সেটা নিয়ে মহা আতঙ্কের মধ্যে মানুষ এখন দিন কাটাচ্ছে। এই রোগের কোন ওষুধ এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানা যায়নি, তাই সারা দুনিয়ার মানুষ এই রোগকে নিয়ে ভীষণভাবে আতঙ্কিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি এটাকে মহামারী বলে আখ্যায়িত করেছে। রোগটি প্রথমে চীনে ধরা পরলেও এখন প্রতিদিনই সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বেশি আক্রান্ত দেশসমূহের মধ্যে চীন, ইতালি, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপিয়ার অন্যান্য দেশ রয়েছে। এ যাবত ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এ রোগে মারা গেছে আর এক লক্ষের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ইদানীং ইতালিতে এই রোগে প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। একদিনেই সে দেশে ২০০ এর মতো মানুষ মারা গেছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইতালি পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম দেশ। এখন সে দেশের দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, সুপার মার্কেটসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। করোনাভাইরাস রোগের এখনও যেহেতু তেমন কোন ওষুধের আবিষ্কার হয় নাই তাই সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া এর আর কোন ওষুধ আছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে না। কথা হলো রোগ প্রতিরোগের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক। স্রষ্টার হুকুম অবমাননা করে নোংরা জীবনযাপন করলে এই রোগ কাউকে ছাড় দেবে না। স্রষ্টা ইচ্ছা করলে এক নিমিষেই এই রোগের সব জীবাণু বিনষ্ট করতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে হবে- এ ব্যাপারে স্রষ্টার কোন নিষেধ নেই। রোগ হলে স্রষ্টা ওষুুধ খেতে বলেছেন আর ওষুুধের মধ্যে মধু আর কালিজিরা এই দুটিই সর্বোত্তম। মানুষ অনেক সময় নিজেই নিজের বিপদ ডেকে আনে। ইদানীং লক্ষ্য করা গেছে দেশের যুব-সমাজ অনেক উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়েছে। যুব-সমাজকে এই উচ্ছৃঙ্খলতার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। এই জন্য দেশের প্রবীণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×