ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ের দুই যুগ

প্রকাশিত: ১২:০৩, ১৮ মার্চ ২০২০

শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ জয়ের দুই যুগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হিসেবের বাইরে থেকে, আন্ডারডগ হয়েও একটা দল কিভাবে বিশ্বকে চমকে দিতে পারে ক্রিকেট সেটি প্রথম দেখেছিল ১৯৯৬ সালে। ১৭ মার্চ, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটের দাপুটে জয়ে পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়াকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা, সনথ জয়সুরিয়া, অরবিন্দ ডি সিলভারা। মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সে অর্জনের দুই যুগ পূর্ণ করল দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে হয়েছিল ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। আয়োজক হলেও ফেবারিটদের কাতারে ছিল না রানাতুঙ্গার দল। চাপ ছিল ম্যাচ আয়োজন নিয়েও। বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে জানুয়ারিতে কলম্বোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এলটিটিই বোমা হামলা চালায়। তাতে অস্ট্রেলিয়া শ্রীলঙ্কা সফরে যেতে নারাজ ছিল, অথচ গ্রুপের প্রথম ম্যাচেই কলম্বোতে ছিল দুই দলের লড়াই। অসিরা যায়নি, ওয়াকওভারে ম্যাচ জিতে যায় লঙ্কানরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজও অস্ট্রেলিয়ার পথে হেঁটেছিল। ওই ম্যাচও না খেলে ২ পয়েন্ট আদায় করে স্বাগতিকরা। ৫ ম্যাচের বাকি তিনটি জিতে গ্রুপের শীর্ষে ছিল শ্রীলঙ্কা। অস্ট্রেলিয়ার ওয়াকওভারের সিদ্ধান্ত যেন তাতিয়ে দিয়েছিল লঙ্কানদের। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড ও সেমিফাইনালে ভারতকে উড়িয়ে ?দিয়েছিল রানাতুঙ্গার দল। যদিও শেষ চারের লড়াইয়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের ক্ষুব্ধ দর্শকদের কারণে লঙ্কানদের ম্যাচ জয়ী ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড। শ্রীলঙ্কার ২৫১ রানের জবাবে ৩৪.১ ওভারে ভারতের স্কোর ১২০/৮ দাঁড়ালে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে ওঠে ইডেনের গ্যালারি। মাঠে দর্শকরা বোতল ছুড়তে থাকলে ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ভাগ্যদেবী শ্রীলঙ্কাকে যেন দুই হাত ভরে সাফল্য দেয়ার পণ করেছিল। সেই অস্ট্রেলিয়াকে লাহোরের ফাইনালে পায় রানাতুঙ্গার দল। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে উজ্জ্বল পারফর্মেন্স করা অরবিন্দ ডি সিলভা বল আর ব্যাট হাতে দাপট দেখালেন সমানতালে। তিন উইকেট, দুটি ক্যাচ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে থামান ২৪১ রানে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাসলেন ২২ গজেও। অপরাজিত ১০৭ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ডি সিলভা। ২২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় আসে রানাতুঙ্গার শটে। তাতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার আয়োজক দেশের হাতে ট্রফি দেখে বিশ্ব। ফাইনালে ম্যাচসেরা হন ডি সিলভা।
×