ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশ ফেরতরা প্রত্যাশিত হারে কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছেন না

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১৮ মার্চ ২০২০

বিদেশ ফেরতরা প্রত্যাশিত হারে কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছেন না

নিখিল মানখিন ॥ দেশে আরও নতুন দু’জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। তারা দু’জনই পুরুষ বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জনে। দশজনের মধ্যে তিনজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এবং বর্তমানে চিকিৎসাধীন আক্রান্তের সংখ্যা ৭। বিদেশ ফেরত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা প্রত্যাশিত হারে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছে খোদ আইইডিসিআর। অধিকাংশ বিদেশ ফেরতদের বর্তমান অবস্থানের তথ্য করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির হাতেও নেই। তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি এবং এলাকাবাসীদের তৎপরতায় কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া লোকের সংখ্যা বেড়েছে। গার্মেন্টসসহ জনবহুল কর্মপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর নিয়ে যাতে কেউ মসজিদে যেতে না পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইমাম ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইচ্ছেমতো ঘোরাফেরা করায় মানিকগঞ্জ ও সোনারগাঁওয়ে বিদেশ ফেরত তিনজনকে অর্থদ- প্রদান করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর ঘটনা ঘটে। স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর এবং দৈনিক জনকণ্ঠের নিজস্ব সংবাদদাতা ও স্টাফ রিপোর্টাররা এসব তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার মহাখালীর আইইডিসিআর ভবনে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অবহিতকরণ প্রেস ব্রিফিংয়ে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের জানান, চতুর্থ দফায় প্রকাশিত দু’জন করোনাভাইরাস রোগীর বাহক হিসেবেও ভূমিকা রেখেছেন দু’জন বিদেশ ফেরত। আক্রান্ত দু’জনের মধ্যে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন এবং আরেকজন ছিলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হওয়া লোকটি ইতালি থেকে এবং হাসপাতালে থাকায় অবস্থায় শনাক্তকৃত লোকটি যার দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্প্রতি দেশে এসেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ফেরত লোকটি নিজে সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি জানতেন না এবং তিনি ওই অবস্থাতেই ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছেন। যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা। পরিচালক আরও জানান, পারিবারিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি খুব শক্তভাবে পালন করার জন্য আমরা বার বার বলে আসছি। এখন পর্যন্ত রোগটি কমিউনিটি পর্যায়ে ছড়ায়নি। কিন্তু বিদেশে থেকে এসেছেন বা আক্রান্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। সর্দি কাশি, জ্বর হলেই আইইডিসিআর হটলাইনে কল করুন ॥ তাই হাঁচি, কাশি, সর্দি হলেই করোনাভাইরাস ধরে নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, বিদেশ থেকে এসেছেন এবং জ্বর, গলা ব্যথা অথবা অন্য কোন উপসর্গ দেখা দিয়েছে, কিংবা বিদেশ থেকে আসা কারও সংস্পর্শে এসেছেন- এমন কারও মধ্যে করোনাভাইরাস রোগের উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি কোন হাসপাতালে না গিয়ে আইইডিসিআরের হটলাইনে ফোন করার পরামর্শ দেন ডাঃ ফ্লোরা। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আপনারা গণপরিবহনও ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে আপনাদের নিয়ে আসা হবে। প্রয়োজন হলে আইইডিসিআরের টিম গিয়ে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে। রোজ এক হাজার করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। একদিকে কীট ব্যবহৃত হবে, অন্যদিকে চলতে থাকে সরবরাহ। অনেক আগেই কীটের জন্য বিভিন্ন উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বিশেষ করে দাতা সংস্থাগুলো কীট সরবরাহ দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান পরিচালক। আইসোলেশনে রয়েছে ১৬ জন ॥ অধ্যাপক ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআরের হটলাইনে কল এসেছে ৪ হাজার ২০৫টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল ছিল ৪ হাজার ১৬৪টি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন। ৪৩ জন আছেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারন্টাইনে। গার্মেন্টসসহ জনবহুল কর্ম প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরামর্শ ॥ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গ পরীক্ষা করে গার্মেন্টস কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করানোর জন্য গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দেন ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, গার্মেন্টস কর্মীদের জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট থাকলে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। যতদিন তারা সুস্থ না হবেন ততদিন তাদের সবেতনে ছুটি দেয়ার জন্য গার্মেন্টস মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কোন কারণে গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে তা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, এ পরামর্শ শুধু গার্মেন্টসের জন্যই নয়, অন্যান্য যে সব প্রতিষ্ঠানে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন, তাদেরও একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৫০টি আইসিইউ ॥ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৭ হাজার রোগীর ওপর করা বিশ্লেষণের তথ্য উল্লেখ করে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৮২ ভাগ রোগী স্বল্প ঝুঁকিতে থাকে, শতকরা ১৫ ভাগ রোগী কিছুটা ঝুঁকিতে থাকেন। বিশেষ করে যাদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা থাকে। শতকরা তিন ভাগ রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন থাকে। যাদের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে শুধুমাত্র করোনা রোগীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ১৫০টি আইসিইউ এবং আরও বেশি আইসিইউ স্থাপনার কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। সর্দি কাশি, জ্বর নিয়ে মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ ॥ আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিদেশ ফেরত প্রত্যেক মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে আনা যাচ্ছে না। অথচ এখন পর্যন্ত তারাই দেশে নতুন নতুন আক্রান্তের বাহক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। যারা কোয়ারেন্টাইনের বাইরে রয়ে গেছে, তাদেরই নিয়ে বড় আশঙ্কাটা সৃষ্টি হয়েছে। তাই যে কোন জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সর্দি, কাশি, জ্বর নিয়ে যাতে কেউ মসজিদে প্রবেশ না করেন, সে জন্য ইমাম ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা। সারা দেশের চিত্র বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬৫ জন ॥ বগুড়ায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ৬৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়ে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ বলেছেন, বগুড়ায় কেউ শনাক্ত হয়নি। মানিকগঞ্জে ৩২৭ জন ॥ কোয়ারেন্টাইনে না থাকার দায়ে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ও ঘিওরে দুই বিদেশ ফেরতকে জরিমানা করা হয়েছে। সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সোমবার রাতে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান ও আদায় করেন। চট্টগ্রামে ৩১ জন ॥ কেেরানা সতর্কতায় চট্টগ্রামে বিদেশ ফেরত আরও ২ জনকে পাঠানো হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। ভোলায় ১০ জন ॥ গত চারদিনে ভোলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ১০ জনকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলার সিভিল সার্জন রতন কুমার ঢালী। নওগাঁয় ৮৮ জন ॥ নওগাঁয় বিদেশ থেকে আসা ৮৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিস। নওগাঁয় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি। সাতক্ষীরায় ১৩ জন ॥ সাতক্ষীরায় বিদেশ ফেরত ১৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন সাফায়াত জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া ব্যক্তিদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সোনারগাঁওয়ে করোনা রোগী আটক ॥ সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া এলাকায় বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে এসে করোনা রোগী সন্দেহে সিঙ্গাপুর প্রবাসী এক যুবককে আটক করেছে এলাকাবাসী। পটুয়াখালীতে ২১ জন ॥ পটুয়াখালীতে করোনাভাইসরাস প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বগুড়ার সান্তাহারে ১৫ জন ॥ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা শহরসহ উপজেলায় প্রবাস ফেরত ১৫ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বরিশাল বিভাগের চার জেলায় ৬৩ জন ॥ স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডাঃ শ্যামল কৃষ্ণ ম-ল জানান, বরিশাল জেলায় ২৬ জন, পিরোজপুরে ১৯ জন, বরগুনায় ৮ জন ও ঝালকাঠিতে ১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নীলফামারীতে ২১ জন ॥ নীলফামারীতে ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেশে ফেরা আরও ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কুড়িগ্রামে ২১ জন ॥ কুড়িগ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রংপুরে ৪ জন ॥ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রংপুর জেলার বিদেশ ফেরত ৪ জন আছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। মাদারীপুরে ২০৩ জন ॥ মাদারীপুুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১২৯ জনসহ মোট ২০৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে। নারায়ণগঞ্জে ৩৪ জন ॥ নারায়ণগঞ্জে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৪ জন। সোমবারও এই সংখ্যা ছিল ২৩ জন। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ৫ জন ॥ মীরসরাই উপজেলার পৃথক পৃথক স্থানে ৫ ইতালি ফেরত ব্যক্তিকে উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের কাছে করোনার কোন প্রকার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। সাভারে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৬ জন ॥ সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, সাভারে গত ২৪ ঘণ্টায় বিদেশ ফেরত ৮ জনকে নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জে আইসলিউশন সেন্টার ॥ স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টার কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ২৫ শয্যা বিশিষ্ট একটি আইসলিউশন (বিচ্ছিন্নকর) ইউনিট উদ্বোধন করেছে। সীতাকুণ্ডে শিশুসহ পাঁচ জন ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা সীতাকুণ্ড থেকে জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিশুসহ পাঁচ ইতালিফেরত প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের কেউ কেউ স্ব স্ব উদ্যোগে আবার কাউকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে বিষয়টি স্বীকার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নুর উদ্দিন। গত ৯ মার্চ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
×