ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্্যাপনের ফুরসত মিলতো না

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ১৭ মার্চ ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদ্্যাপনের ফুরসত মিলতো না

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ যেখানে সমার্থক সেখানে আলাদা করে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উদ্যাপনের তেমন সুযোগ নেই। ছিল না। তবে সাধারণ নিয়মে প্রতিবছরই এসেছে বিশেষ এই দিবস। আন্দোলন, সংগ্রাম, মিছিল, স্লোগানে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় জন্মদিন এসেছে। কখনও এ দিনের কথা বঙ্গবন্ধুর মনে ছিল। কখনও ভুলেই থেকেছেন। কখনও বা হাসিতে উড়িয়ে দিয়েছেন এই সব উদ্যাপন। কণ্টকাকীর্ণ পথ ধরে এগিয়ে চলা রাজনীতিকের কাছে জন্ম ও মৃত্যুর বিশেষ পার্থক্য ছিল না। দেশমাতার মুক্তি, স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজটিই ছিল মুখ্য। কাজের ফাঁকে সময় সুযোগ হলে নেতাকর্মী সুহৃদদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করেছেন। গলায় তুলতে হয়েছে ফুলের মালাও। তবে কেক কাটার সংস্কৃতি তখনও অপ্রচলিত ছিল। জন্মদিনের কেক কাটা বা আড়ম্বরপূর্ণ উৎসবে তাঁকে পাওয়া যায়নি বললেই চলে। শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের লেখা ডায়েরি, সে সময় প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা, বাংলার বাণী, ডেইলি অবজারভারসহ অন্যান্য পত্রপত্রিকার খবরও ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জন্মদিন সম্পর্কে এমন ধারণাই পাওয়া গেছে। নাতিদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের প্রায় ১৪ বছর কারাগারে কাটিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। কেমন ছিল সেইসব জন্মদিন? ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইটি থেকে তার কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। জেলে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালের ১৭ মার্চ তিনি ডায়েরিতে লিখেছিলেন, আজ আমার ৪৭তম জন্মবার্ষিকী।
×