ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাল থেকে সব ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে ॥ অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ১৭ মার্চ ২০২০

কাল থেকে সব ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে ॥ অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অব্যাহত দরপতন ঠেকাতে আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের সব সরকারী-বেসরকারী খাতের ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো বিনিয়োগে আসলে বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার কারণে দেশের পুঁজিবাজারে যে ধস দেখা দিয়েছে তা কাটাতে সরকারের উদ্যোগ রয়েছে। বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বেই করোনা একটি বড় সমস্যা। এই ভাইরাসের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত্র হয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে সরে পড়ছেন। এতে ১০ টাকার শেয়ার হয়ে গেছে ৫ টাকা। এটা বড় বিপযর্য। আর তাই বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলব, আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করবেন না। বিশ্বের অনেক দেশ বিশেষ করে চীন, তাইওয়ান, হংকং এবং থাইল্যান্ড থেকে করোনা প্রায় দূর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ থেকেও দ্রুত এটা চলে যাবে। এছাড়া বুধবার থেকে ব্যাংকগুলো শেয়ার কিনবে, ফলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাংকগুলো হলো প্রাথমিক উৎস। তারা সবাই আশস্ত করেছেন, তারা বিনিয়োগ করবেন। পুঁজিবাজারের কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হউন। এছাড়া এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সবার সহযোগিতায় পুঁজিবাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভাইরাস যখন আসে নাই, তখন কিন্তু মার্কেট ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল। হঠাৎ করে চিনে যখন ভাইরাস হানা দিল, সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট কমতে শুরু করেছে। এই সময়ে সবাইকে যে জোর করে রাখব, সেই ব্যবস্থা নেই। আমাদের খারাপ লাগে। জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমাদের তো কিছু দায়িত্ব আছে। পুঁজিবাজার যেন একটি জায়গায় আসে, এখন স্থিতিশীল হলে তো লাভ নেই। পুঁজিবাজারকে আগে উঠাইতে হবে। উঠিয়ে স্থিতিশীল করতে হবে। এ সময় বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, দেশের পুঁজিবাজার উঠতেছিল, হঠাৎ করে করোনাভাইরাস আসার পর ভয় পেয়ে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছে। এখনই ওই ২০০ কোটি টাকা যেটা দেয়া হয়েছে সেখানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আছে।
×