ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আক্রান্তদের একজন নারী, দুটি শিশু

দেশে আরও তিন করোনা রোগী শনাক্ত

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৭ মার্চ ২০২০

দেশে আরও তিন করোনা রোগী শনাক্ত

নিখিল মানখিন ॥ দেশে আরও তিন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে এক নারী ও দুটি শিশু। তারা একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের কেউ প্রবাসী নয় বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশ ফেরতদের বড় অংশ হোম কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছে না বলে আবারও অভিযোগ উঠেছে। তাই কেউ বিদেশ থেকে এলেই কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ইতোমধ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটিকে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ইতোমধ্যে দৃশ্যমান অনেক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছে। বিদেশ ফেরতদের বড় অংশ কোয়ারেন্টাইনে না থাকার সন্দেহে জনসাধারণের মধ্যে ‘করোনাভাইরাস আতঙ্ক’ রয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত কয়েকদিনে কয়েকটি সরকারী হাসপাতালে করোনা রোগী সন্দেহে চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালগুলোতে আগত রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার মহাখালীর আইইডিসিআর ভবনে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অবহিতকরণ প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এই পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৮ জনেরই বাহক হিসেবে কাজ করেছেন বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীরা। তৃতীয় দফতায় আক্রান্ত তিন নারী-শিশু একই পরিবারের সদস্য। এর আগে দ্বিতীয় দফায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ইতালি ও জার্মানি ফেরত দু’জনের মধ্যে একজনের সংস্পর্শে গিয়ে নতুন এই তিন নারী-শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুই শিশুর মধ্যে একটি ছেলে, একটি মেয়ে। দুজনের বয়স ১০ বছরের কম। আক্রান্তদের হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তারা মৃদু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এই নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। প্রথম আক্রান্ত তিনজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাস রোগীর সংখ্যা ৫। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ৬ হাজার ৫১৬ জনের। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৭ হাজার ৭৫৩ জন। এখন পর্যন্ত ১৫৭ দেশ করোনায় আক্রান্ত। শুধুমাত্র চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮৬০ এবং সেখানে মারা গেছেন ৩ হাজার ২১৩ জন। ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা আরও বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে পরীক্ষার জন্য আর কারও নমুনা সরাসরি সংগ্রহ করবে না আইইডিসিআর। দেশের কোথাও প্রবাস ফেরত করও দেহে করোনাভাইরাসের নমুনা বা উপসর্গ রয়েছে সন্দেহ থাকলে তাদের আইইডিসিআরের হটলাইন অথবা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যোগাযোগ করে পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনে আইইডিসিআরের টিম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৬৯টি কল এসেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭২২টি করোনাভাইরাস সম্পর্কিত। এ সময়ে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ নিয়ে দেশে মোট ২৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় সর্বমোট ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ১০ জন আইসোলেশন ও ৪ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে বলে জানান তিনি। ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা পূর্বঘোষিত নির্দেশনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকা থেকে আসা লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কোয়ারেন্টাইনে রাখার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যেতে হচ্ছে। পারিবারিক কোয়ারেন্টাইন না মানলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে। বিদেশ ফেরত প্রত্যেকের জন্য হোম কেয়ারেন্টাইন বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তদের পেছনে বিদেশ ফেরত মানুষেরা বাহক হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। তাই বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইনে যাওয়ার বিষয়ে কোন আপোস নেই। বর্তমানে বিদেশ ফেরত প্রত্যেক যাত্রীকে প্রথমে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ‘হোম কোয়ারেন্টাইন’ বা ‘ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন’ এ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। দেশে আগত যাত্রীদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভর না করে সরকারী প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যাত্রীদের নাম-ঠিকানা অনুযায়ী পাঠিয়ে দিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। এতে আগত যাত্রীদের ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকছে না। তবে বিদেশ ফেরত মানুষদের আন্তরিকতা এবং এলাকার মানুষের অংশগ্রহণ না থাকলে শতভাগ কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। হোম কোয়ারেন্টাইন যত বেশি নিশ্চিত করা যাবে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা তত বেশি হ্রাস পাবে। তাই অনুরোধ না শুনলে কঠোরভাবে আইনী উপায়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। করোনা রোগী সন্দেহে হাসপাতালেগুলোতে আতঙ্ক ॥ গত কয়েকদিনে রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং সোমবার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) সন্দেহজনক করোনা রোগীর অবস্থান নিয়ে তুলকালাম ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আছেনÑ এমন কথা ছড়িয়ে পড়লে সোমবার সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কাছে সহায়তা চেয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবদুল গণি মোল্যা জনকণ্ঠকে জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে লোকটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে মনে হয় না। আইইডিসিআর’র একটি টিম এসে তার রক্তের নমুনা নিয়ে গেছে। তাকে হাসপাতালের একটি আইসোলেশন স্থানে পৃথক করে রাখা হয়েছে। আইইডিসিআর’র পাঠানো রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে রাখা হবে। ওপেন ইনজুরি থাকার কারণে লোকটির শরীরে জ্বর এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লোকটি সৌদি ফেরত বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আবদুল গণি মোল্যা। করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিলে যাওয়া বাহরাইন প্রবাসী এক রোগী রবিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন। ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে ওই হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ওই ব্যক্তি ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন । পরিচালক আরও জানান, লোকটি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে তার অসুস্থতার উপসর্গ করোনাভাইরাস রোগীর সঙ্গে মিলে যাওয়ায় রবিবার পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছিল। পাশাপাশি তার বিষয়ে করণীয় নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ছিলাম। এর মধ্যে আমরা বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও আইইডিসিআর পরিচালককে অবহিত করি। হাসপাতালে টিম পাঠানোর কথা বলেছিল আইইডিসিআর। কিন্তু এর মধ্যেই স্ত্রীকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে পালিয়ে যায় ওই প্রবাসী লোকটি। লোকটির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে নিউমোনিয়া রোগী হতে পারেন বলে সন্দেহ করে পরিচালক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ওই ব্যক্তি ১৮ জানুয়ারি বাহরাইন থেকে দেশে আসেন। মাঝখানে অনেক দিন পার হয়ে গেছে। জীবাণু বহন করলে তার মধ্যে অনেক আগেই করোনাভাইরাসের উপসর্গ ফুটে উঠার কথা। সারা দেশের চিত্র ॥ বিশ্বের করোনাভাইরাস আক্রান্ত দেশ থেকে আসা সব যাত্রীদের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। ফলে বেড়েই চলেছে হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া বিদেশ ফেরত মানুষের সংখ্যা। সোমবার দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার চিত্র বেরিয়ে এসেছে। বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৩৭ জন ॥ ৩৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কিন্তু রবিবার রাত পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ১২ জন কোয়ারেন্টাইনে যাননি। পটুয়াখালীতে ১ জন ॥ কলাপাড়ায় ইতালি ফেরত এক ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। কলাপাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক অনুপ কুমার সরকার সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মানিকগঞ্জে ২৫৪ জন ॥ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় রবিবার রাতে লাল মিয়া (৪০) নামের বিদেশ ফেরত একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। মানিকগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ছয় উপজেলায় বিদেশ ফেরত নতুন করে ৪৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। গাজীপুরে কোয়ারেন্টাইনের আরও চারজনকে ঢাকায় প্রেরণ ॥ স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, গাজীপুরের ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ইতালিফেরত আরও ৪ জনকে সোমবার রাতে ঢাকার উত্তরার কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিশোরগঞ্জে ১২৩ জন ॥ কিশোরগঞ্জে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে এমন সন্দেহভাজনদের হোম কোয়ারেন্টাইনে না রেখে নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তবে সোমবার পর্যন্ত সমগ্র জেলায় ১২৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সাভারে ৮ জন ॥ ইতোমধ্যে বিদেশ ফেরত ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা । ফেনীতে ১১৬ জন ॥ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ফেনীতে বিদেশ থেকে আসা ২২ জন এবং তাদের পারিবারের ৯৪ জনসহ মোট ১১৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাজ্জাদ হোসেন। নোয়াখালীতে ৩৬ জন ॥ নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীর নয়টি উপজেলায় করোনা সন্দেহে মোট ৩৬ জন হোম কোয়ারন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১৪ জন, সোনাইমুড়ীতে আট জন রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইতালি ও সৌদি ফেরত ৮ প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন মোঃ শাহ আলম বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৮ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নেই। মাগুরায় ১৮ জন ॥ মাগুরায় ইতালি, বাহারাইন ও সিঙ্গাপুর ফেরত ১৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাগুরার সিভিল সার্জন ডাঃ প্রদীপ কুমার সাহা। মাদারীপুরে ২১২ জন ॥ ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সম্প্রতি বেশকিছু প্রবাসী মাদারীপুরে এসেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়ায় ২ জনকে ঢাকায় আইসোলেশনে রাখা হয়। ২১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় ১ জন ॥ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার যদুপুর গ্রামের ইতালি ফেরত সাব্বির আহম্মেদ (৩০) নামে এক যুবককে স্বাস্থ্য পরীক্ষার করার জন্য সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে নেয়া হয়েছে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ শামীম কবির । বরিশালে ১ জন ॥ আত্মগোপনে চলে যাওয়া এক প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে আবারও ফিরে এসেছেন। সোমবার সকালে বিষয় নিশ্চিত করেছেন বরিশালের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন। গাজীপুুরে ৪৪ জন ॥ করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ইতালি ফেরত ৪৮ জনের মধ্যে ৪৪ জন কোয়ারেন্টাইনের জন্য গাজীপুরের পূবাইল এলাকার ‘মেঘডুবি ২০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র’ হাসপাতালে সোমবারেও অবস্থান করছেন। সেখান থেকে মুক্ত হতে এদিনও সকালে তারা বিক্ষোভ করেছেন। নারায়ণগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টাইনে ২৩ জন ॥ করোনাভারাইস সন্দেহভাজন ২৩ জনকে নারায়ণগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, রবিবার সকাল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত নতুন করে আরও ১২ জনকে নিজের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, প্রথম দফায় ইতালি ফেরত দুইজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল তারা দুইজনই আইডিসিআরের ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। তবে ওই দুইজনের কেউ এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে আসেননি। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা মানেই তারা কোন রোগী নয়। এরা সন্দেহভাজন হিসেবে নিজের বাড়িতে ১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে থাকবেন। লালমনিরহাটে তিন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে ॥ সোমবার দুপুরের পর হতে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন প্রবাসী বাংলাদেশীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ফিনল্যান্ড ফেরত এক ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে ॥ স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, ফিনল্যান্ড থেকে ফেরত আসা গাজীপুরের কালীগঞ্জের এক ব্যক্তিকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। সোমবার রাতে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিবলী সাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া এলাকার গোলাম হায়দার গত তিনদিন আগে শুক্রবার ফিনল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসেন।
×