ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যোগাযোগ উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৬ মার্চ ২০২০

 যোগাযোগ উন্নয়নে ৪০ কোটি ডলার দেবে এডিবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা-নর্থওয়েস্ট ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড করিডর উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। রবিবার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এডিবির পক্ষ থেকে তাদের বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ স্বাক্ষর করেন। মনমোহন প্রকাশ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানের আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও শক্তিশালীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর কাজ শেষ হলে পণ্য পরিবহন খরচ, ভ্রমণ সময়, গাড়ির কার্বন নিঃসরণ ও দুর্র্ঘটনা কমে আসবে। জানা গেছে, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদে ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-১১ : এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় ১১ হাজার ৮৯৯ কোটি ১ লাখ ২১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার এবং এডিবি ঋণ দেবে ৯ হাজার ৩৫৪ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এর অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ২০১৭ সালে ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়। এবার দ্বিতীয় ধাপে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৩৪০০ কোটি টাকা ঋণ দিল এডিবি। দ্বিতীয় ধাপের এ কাজে মোট খরচ হবে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন এডিবি দিল এবং বাকি ১০০ মিলিয়ন দেবে বাংলাদেশ সরকার। ইআরডি সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো ঢাকা-উত্তর-পশ্চিম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করিডরের সড়ক যোগাযোগ ও দক্ষতা বৃদ্ধিসহ ভুটান, ভারত ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ সহজ করা। এ প্রকল্পের আওতায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করাসহ উভয় পার্শে¦র ধীরগতি সম্পন্ন যান চলাচলের জন্য পৃথক লেন নির্মাণ করা হবে। এই মহাসড়কে নির্বিঘেœ চলাচল নিশ্চিত করার স্বার্থে ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, রেলওয়ে ওভারপাস, পথচারী পারাপার, চতুর্মুখী জংশন নির্মাণ এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে সড়ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় সড়ক বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এছাড়াও সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (এসএএসইসি) করিডর ৪ ও ৯, এশিয়ান হাইওয়ে-২ এবং সার্ক হাইওয়ে করিডর-৪’র সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
×