অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেকহোল্ডার শাহ মোহাম্মদ সগীর এ্যান্ড কোম্পানির মালিকানা পরিবর্তন করা হবে। এই অবস্থায় হাউসটির সব গ্রাহককে পোর্টফোলিও হিসাবে নগদ ও শেয়ারের তথ্য যাচাই এবং দাবি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হাউসটির সব গ্রাহককে অন্যান্য ডকুমেন্টস থাকলে, তা সহ হাউসটির চেয়ারম্যান এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এই দাবি করতে হবে। যা আগামী ২৫ মার্চের মধ্যে করতে হবে। যদি কোন গ্রাহক শাহ মোহাম্মদ সগীর থেকে অন্য কোথাও শেয়ার স্থানান্তর করতে চায়, তাহলে লিংক এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা যাবে।
এর আগে গত ৩১ অক্টোবর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিশনের নতুন স্থাপিত কাস্টমার কমপ্লেইন্ট এ্যাড্রেস মডিউলে শাহ সগীরের বিরুদ্ধে ৪৮টি অভিযোগ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই আইপিও’র জন্য জমা দেয়া টাকা ফেরত না পাওয়া। যা উদ্ধারে কমিশন ডিএসই ও ডিবিএ-কে গত ১৭ অক্টোবর চিঠি প্রদান করে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখার আহ্বান করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাওয়া যায়নি। তবে কমিশনের নির্দেশ ডিএসই একটি পরিদর্শন পরিচালনা করে। এতে গ্রাহকদের বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাতের চিত্র বেরিয়ে আসে।
এই অনিয়মের কারণে বিএসইসি শাহ মোহাম্মদ সগীরের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৩(১এ) অনুযায়ী, গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে ডিএসইকে নির্দেশ প্রদান করা হবে। এই আইনে ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন সনদ বাজেয়াফত করে, তা বিক্রির মাধ্যমে গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আত্মসাতের সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী মামলা দায়ের করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দেয়া হবে। গত ১৩ অক্টোবর অনিয়ম করায় শাহ মোহাম্মদ সগীর এ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোজিটরি পাটিসিপেন্টে (ডিপি) সনদ স্থগিত করে বিএসইসি।
