স্টাফ রিপোর্টার ॥ যার আগমন ঘটেছিল মধুমতি আর ঘাগোর নদীর তীরে অবস্থিত অবারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। নিভৃত পল্লীর ছায়া ঢাকা গাঁয়ে, কাশফুলের সুভ্রতার মোহমুগ্ধ বাঁকে, পাখির কলতানে মুখরিত নিকুঞ্জ আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই শিশু। এক নিঃস্বার্থ মহীয়সী জননীর কোল মহিমান্বিত করে টুঙ্গিপাড়া গ্রামকে আলোর কণায় পরিপূর্ণতা দিয়ে জন্ম নেয়া এ শিশুটির পরম আদরের নাম ‘খোকা’। তার নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রামের প্রতিটি পথ-প্রান্তর যেন তাকে চেনে। সে গাঁয়ের মাটির সঙ্গে যেন তার পরম আত্মীয়তার সম্পর্ক। মধুমতি নদীতে সাঁতার কেটেই কেটেছে তার দুরন্ত শৈশব। সে শিশুর পায়ের আলতো স্পর্শে যেন ধন্য হয়েছে এ গাঁয়ের মাটির কণা। কেই বা জানত এ শিশুটি একদিন হয়ে উঠবেন বিশ্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক সুমহান অংশ! জন্মভূমির মানুষের কাছে অতি আদরের খোকা ছিলেন সদাচঞ্চল ও দুরন্ত এক তরুণ। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠার কাহিনীর আলোকে নির্মাণ করা হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা’। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ্যাগামী ল্যাবস লিমিটেডের প্রযোজনায় নির্মিত ১৯ মিনিট ২০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন মোঃ হানিফ সিদ্দিকী। মুজিববর্ষের প্রথমদিন আগামীকাল মঙ্গলবার চলচ্চিত্রটি প্রকাশ হবে বলে জানান এ্যাগামী ল্যাবস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তসলিমা খানম। তিনি বলেন, এই প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দেশপ্রেমকে তুলে ধরতেই আমরা এই প্রয়াস নিয়েছি। এটি ছোট-বড় সব ধরনের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এটির ট্রেইলার প্রকাশ হয়েছে। দর্শকদের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠার কাহিনীই তুলে আনা হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রের কাহিনী সম্পাদনা ও নাট্যরূপ দিয়েছেন রুদ্র সাইফুল, তসলিমা খানম ও সানজিদা শারমিন প্রমি। এনিমেটর মোঃ আশিফুর রহমানের নেতৃত্বে এ্যাগামী ল্যাবসের একঝাঁক তরুণ এ্যানিমেটর ও চিত্রশিল্পীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও পৃথ্বীরাজ রঞ্জন নাথের শব্দ কৌশলে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: