ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২৯ মার্চ চট্টগ্রাম মহানগরীতে অফিস আদালত অর্ধদিবস, চলবে সীমিত যানবাহন

কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন যাকে ইচ্ছে তাকে দিন ॥ সিইসি

প্রকাশিত: ১১:৪৯, ১৫ মার্চ ২০২০

কেন্দ্রে আসুন, ভোট দিন যাকে ইচ্ছে তাকে দিন ॥ সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ আগামী ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন মহানগরীতে অফিস আদালত, কলকারখানার সময়সূচী হবে অর্ধদিবস। যানবাহন চলবে সীমিত আকারে। করোনার কারণে এখনও এমন কোন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই এ নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। তিনি ভোটারদের কেন্দ্রে এসে যাকে খুশি তাকে ইচ্ছে ভোট দেয়ার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চসিক নির্বাচন উপলক্ষে রিটার্নিং অফিসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নুরুল হুদা এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, ভোটের দিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত অফিস আদালত ও কলকারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অতীতে দেখা গেছে, নির্বাচনের দিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে দূর-দূরান্ত থেকে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেন না। অনেকে প্রতিবাদস্বরূপ ভোট কেন্দ্রেই আসেন না। সে কারণে আগামী ২৯ মার্চ এ নগরীতে ভোটের দিন সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে পুরোপুরি উন্মুক্ত হবে না। সিইসি বলেন, ভোটের দিন প্রার্থীগণ এজেন্টদের নিজ দায়িত্বে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশের পর কেউ যেন এজেন্টদের বের করে না দেয় তা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে কয়েকটি অভিযোগ প্রায়শ আসে। সবচেয়ে বেশি আসে পোলিং এজেন্টদের নিয়ে। অভিযোগ থাকে, পোলিং এজেন্টগণ কেন্দ্রে যেতে পারেন না, তাদের বের করে দেয়া হয়। এসব অভিযোগ সঠিক কিনা তা পর্যালোচনা করে জানতে চাই। কেননা, পোলিং এজেন্টগণ হচ্ছেন নির্বাচনে প্রার্থীদের সবচেয়ে নির্ভরশীল ব্যক্তি। বুথে কোন অনিয়ম হলে প্রতিরোধের ক্ষমতা তাদের থাকে। তাই সকল প্রার্থী তাদের এজেন্টদের নিজ দায়িত্বে নির্বাচনের কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ করে ইসি বলেন, যখন একজন এজেন্ট কেন্দ্রে যাবেন তার নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনাদের। কেন্দ্রে যেতে না দেয়া কিংবা কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্ট যাননি। কেন্দ্রে যদি এজেন্ট না যায় তাহলে কারও কিছু করার থাকে না। সিইসি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজমান তাতে করে জাতীয় পর্যায়ে কোন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি এবং নির্বাচন বন্ধ করার কোন পরিস্থিতি আসেনি। যদি ওই ধরনের কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় সেটা পরে দেখা যাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২৬ থেকে ২৯ মার্চ টানা চার দিন ছুটি থাকছে। এতে ভোটাররা বিভিন্ন স্থানে চলে যেতে পারেন। তাই চসিক নির্বাচনের দিন এ মহানগরীতে অর্ধদিবস অফিস খোলা রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার স্বার্থে যানবাহনও চলাচল করবে সীমিত আকারে।
×