ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত খবর সম্পর্কে বিজিএফসিএলের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ১১:১২, ১৫ মার্চ ২০২০

প্রকাশিত খবর সম্পর্কে বিজিএফসিএলের ব্যাখ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দৈনিক জনকণ্ঠে গত ১১ মার্চ প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত তিতাস গ্যাস ক্ষেত্র শঙ্কায় শীর্ষক সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ব্যাখ্যায় সাতটি কম্প্রেসার স্থাপনে আহ্বান করা দরপত্রে সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নোটিফিকেশন অব এ্যাওয়ার্ড দেয়ার পরও চুক্তি করা সম্ভব হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সম্মতিতে কর্তৃপক্ষ পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে যাচ্ছে। ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে ক্রমান্বয়ে চাপ হ্রাস বিবেচনায় ২০২২ সাল নাগাদ লোকেশন ‘এ’-এর কূপের জন্য কম্প্রেসার স্থাপন করা প্রয়োজন হবে। তদুপরি আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে কম্প্রেসার স্থাপনের কাজ শেষ করার কথা ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া দুবার দরপত্র আহ্বান এবং ২০ ভাগ দাম বৃদ্ধির বিষয়টি সঠিক নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদকের বক্তব্য ॥ একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি অনুমোদনের সময় বলেন, ‘২০০৬ সালে এডিবির অর্থায়নে ২টি কম্প্রেসার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এর কাজ ২০১৬ সালে শেষ হওয়া পর্যন্ত কত টাকা ব্যয় হয়েছিল তার একটি হিসাব দিতে হবে। এছাড়া এসব কম্প্রেসার স্থাপনে এত দেরি হওয়ায় সরকারের উদ্বেগের বিষয়টি এডিবিকে জানাতে হবে। যাতে প্রস্তাবিত কম্প্রেসার স্থাপনের কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়’। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যর পর একনেক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এর (ক) তে বলা হয়েছে ১ জুলাই ২০১৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ এর মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে। একই সঙ্গে একনেক বৈঠকের সিদ্ধান্তের (খ) তে বলা হয়েছে এর আগে এডিবির অর্থায়নে কম্প্রেসার স্থাপনে দেরি হওয়ার কারণ ও এতে ব্যয় বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই নির্দেশনার পরও কি বিজিএফসিএলের প্রকল্প বাস্তবায়নে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল না? কেন সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হয়নি তা প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এডিবির কাছে বিজিএফসিএলের কম্প্রেসার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালকের চিঠি এবং ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো রাষ্ট্রদূতের চিঠি এবং প্রকল্পটির প্রস্তাবে সময়সীমার উল্লেখের বিষয় সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রই জনকণ্ঠের কাছে রয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদক নিজস্ব কোন বক্তব্য বা তথ্য উপস্থাপন করেননি। পুনঃদরপত্র আহ্বানের বিষয়টি জ¦ালানি বিভাগের সচিব নিশ্চিত করেছেন। প্রতিবেদনে জ¦ালানি বিভাগের সচিবের বক্তব্যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হলে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াটা স্বাভাবিক। একনেক বৈঠকের সিদ্ধান্ত (খ) তে যার ইঙ্গিত রয়েছে।
×