ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার কারণে বিমানের কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত: ১১:০০, ১৫ মার্চ ২০২০

করোনার কারণে বিমানের কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের দরুন বিমানের অভ্যন্তরীণ ১৬টি ও আন্তর্জাতিক ১৪টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। শনিবার ঢাকা থাইল্যান্ড, কাঠমান্ডু যশোর, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর রুটে এসব ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করা হয়। একই অবস্থা বেসরকারী এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলা, নভোএয়ার ও রিজেন্টেরও। শনিবার থেকে ভারতের সব ফ্লাইট বন্ধ করেছে এগুলো। বিমান জানিয়েছে, যাত্রীস্বল্পতার কারণে আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা থেকে থাইল্যান্ড ও কাঠমান্ডু রুটের ১৪টি ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই কারণে অভ্যন্তরীণ রুটেরও ১৬টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া রুট পাঁচটি হলো- অভ্যন্তরীণ ঢাকা-যশোর, ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা- সৈয়দপুর এবং বিদেশী ঢাকা-কাঠমান্ডু ও ঢাকা-ব্যাঙ্কক ফ্লাইট। ১৫ মার্চের ঢাকা-যশোর, ১৫ ও ১৬ মার্চের ঢাকা-রাজশাহী এবং ১৬ মার্চের ঢাকা- সৈয়দপুর রুটের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ২৪, ২৯, ৩০ এবং ৩১ মার্চের ঢাকা-কাঠমান্ডু; ১৬, ২৩ ও ৩০ মার্চের ঢাকা-ব্যাঙ্কক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ১৯ ও ২২ মার্চ ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী ছেড়ে যাবে। মোকাব্বির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মূলত যাত্রী সংখ্যা কমে যাওয়ায় আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৭ মার্চ ও ১০ মার্চের কুয়েতগামী দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার থেকে আজ রবিবার পর্যন্ত ভারতের সব কটি ফ্লাইট বাতিল করে বিমান। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশীদের ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে বিমান। শুক্রবার থেকে তাই বিমানের কোন ফ্লাইট ভারতে যায়নি। একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের দুটি বেসরকারী বিমান সংস্থা নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস। নভোএয়ার জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় নভোএয়ারের ফ্লাইট যাত্রী ছাড়াই কলকাতায় গেছে । সেখান থেকে ফিরতি যাত্রীদের আনা হবে। তবে গতকাল শনিবার ১৪ মার্চ থেকে তাদের কলকাতা ফ্লাইট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এই সময়ের টিকিট কাটা যাত্রীরা বিনা চার্জে রিফান্ড করতে পারবেন। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সও বন্ধ করছে ভারতগামী ফ্লাইট। এয়ারলাইন্সটির মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ১৫ মার্চ থেকে চেন্নাই রুটের ফ্লাইট বন্ধ থাকছে। উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে কলকাতা ও দিল্লী রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। শনিবার্র থেকে এই দুই রুটে ফ্লাইট বন্ধ করে এয়ারলাইন্সটি। বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, কলকাতায় ও দিল্লীতে ভারতের নির্দেশিত সময় পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখা হবে। রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, আমরাদের দেশে যেসব ভারতীয় আছেন এবং ভারতে যেসব বাংলাদেশী আছেন, তাদের ঢাকায় ফেরাতে আমরা কয়েকদিন ফ্লাইট চালানোর কথা জানিয়েছি ভারতকে। তারা অনুমতি দিলে কয়েকদিন এসব ফ্লাইট চলবে, এরপর বন্ধ থাকবে। জানা গেছে, বিমান, নভোএয়ার ও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ভারতে প্রতি সপ্তাহে মোট ৩৭টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে বিমান চলাচল করে ভারতের কলকাতা ও দিল্লী­ রুটে। ইউএস বাংলার ফ্লাইট রয়েছে কলকাতা ও চেন্নাইয়ে। নভোএয়ারের ফ্লাইট রয়েছে কলকাতা রুটে। গত বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কূটনৈতিক, জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সংস্থা, চাকরি এবং প্রজেক্ট ভিসা ছাড়া বিদ্যমান সব ধরনের ভিসা স্থগিত থাকবে। এ কারণেই এয়ারলান্সগুলো ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হয়।
×