ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কালুরঘাট ডুয়েল সেতুর লিজ চুক্তি মূল্য চক্রান্তে জর্জরিত

প্রকাশিত: ০৯:২১, ১৫ মার্চ ২০২০

কালুরঘাট ডুয়েল সেতুর লিজ চুক্তি মূল্য চক্রান্তে জর্জরিত

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কালুরঘাট ডুয়েল সেতুর টোল আদায়ের লিজ নিয়ে পুনঃটেন্ডারেও সিন্ডিকেটের কারসাজি ছিল। গত ২০ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ফলে পূর্বের দরদাতা আবারও গত ৪ মার্চের দরপত্র দাখিল ও ৮ মার্চে দরপত্র খোলার দিনে সাড়ে তিন কোটি টাকায় মূল্যায়িত হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই টেন্ডার দাখিলকারী কিভাবে প্রায় এক কোটি টাকা বাড়িয়ে দিল। তবে এরপরও সরকার গত সেশনের তুলনায় অর্ধ কোটি টাকা কম রাজস্ব পাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির পক্ষ থেকে। আরও অভিযোগ উঠেছে পুনঃটেন্ডারেও রাজস্বহানি ঘটেছে একই টেন্ডার দাখিলকারী কর্তৃক। আরও অভিযোগ রয়েছে, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে লিজ চুক্তির মূল্য কমিয়ে এ ধরনের কারসাজি হচ্ছে বলে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) সূত্রে জানা গেছে। কারণ, গত বছর ৪ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় মোঃ আইয়ুব আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে এ সেতুর টোল আদায়ের লিজ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একই ব্যক্তি চলতি বছরের জানুয়ারির দরপত্রে মাত্র ২ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার ৫শ’ টাকা মূল্যায়ন করে দরপত্র দাখিল করেন। ফলে চলতি বছরের লিজমূল্য প্রায় অর্ধেকে নেমে আসায় কর্তৃপক্ষ টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছে। এদিকে, দৈনিক জনকণ্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর একই দরপত্র দাখিলকারী ৩ কোটি ৫১ লাখ টাকায় টেন্ডার দাখিল করেছে। যা টিইসি কর্তৃক মূল্যায়ন ও গ্রহণযোগ্যতা নিরুপণের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে নতুন প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা যোগদান না করার পরও কিভাবে দরপত্র মূল্যায়িত হয়েছে। ৮ মার্চ দরপত্রের বাক্স খোলার সময় অতিরিক্ত অর্থ উপদেষ্টা ও হিসাব অধিকর্তা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৗশলী (ব্রিজ), অতিরিক্ত প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে টিইসি’র দায়িত্ব পালন করেছেন। এ বিষয়ে টেন্ডার কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে দুই দফায় লিজ চুক্তির দরপত্র মূল্য কম হওয়ায় ২য় পুনঃটেন্ডার আহ্বান করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যথায় সরকার রাজস্ব হারানোর নিশ্চিত সম্ভাবনা রয়েছে।
×