বিশ্বের ফ্যাশন রাজধানী হিসেবে খ্যাত ফ্রান্সের প্যারিস। বিশ্ববিখ্যাত প্যারিস ফ্যাশন উইকে এবার মুখের মাস্ক ব্যবহার করে ক্যাটওয়াক করেছেন মডেলরা। স্বভাবতই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তার মধ্যে ‘দ্বিচারিতা’ খুঁজে পেতে দেরি করেননি। তারা বলছেন যে, সেই ২০১১ সালে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ফ্রান্স প্রকাশ্যে মুখ আবদ্ধ রাখা নেকাব নিষিদ্ধ করেছিল। অথচ, সেখানেই এখন মুখ আবদ্ধ রাখা মাস্ক ফ্যাশনের বস্তু হয়ে উঠেছে। ডিজাইনার ম্যারিন সেরে এই সপ্তাহান্তে প্যারিস ফ্যাশন উইকে ক্যাটওয়াক করা মডেলদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মাস্কও পরিয়েছেন। এছাড়া করোনাভাইরাসের প্রেক্ষিতে ফ্রান্সে এখন মুখবন্ধনী বা মাস্কের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠেছে। বিবিসির প্রতিবেদন শেয়ার দিয়ে আইনজীবী নামিরা ইসলাম অননি লিখেছেন, এটি ফ্রান্সের দ্বিচারিতার নিদর্শন। তিনি লিখেছেন, ‘আমি তো জানতাম, নিজের মুখ আবদ্ধ রাখা অপরাধ, আপত্তিকর, এমনকি নিরাপত্তা হুমকি।’ এক অনুসারী সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিয়েছেন, তারা না নিকাব নিষিদ্ধ করেছিল? এখন তারা ঠিকই মুখ বদ্ধ রাখা নিয়ে নিরুত্তর। ফ্রান্সে প্রকাশ্য স্থানে ২০১১ সাল থেকে মুখ আবদ্ধ রাখা পর্দা বা মাস্ক পরা নিষিদ্ধ। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লদে গন্ট বলেছিলেন, আইন এখানে স্পষ্ট। প্রকাশ্য স্থানে মুখ আবদ্ধ রাখলে জরিমানা পেতে হবে। তিনি যুক্তি দেখান যে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে দুই মূলনীতি সুরক্ষিত হয়েছে। এক. ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি এবং দুই. নারী ও পুরুষের মধ্যে সমতার নীতি। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা মূলত মুসলিম নারীদের ক্ষতি করেছে বেশি, যারা নেকাব ও বোরকা পরেন। এই নারীরা সর্বোচ্চ ২৫৯ ডলার পর্যন্ত জরিমানার শিকার হতে পারেন। ফ্রান্সের মাস্কপ্রীতি দেখে এক নারী টুইট করেছেন, আমাদের এখন নেকাব বিক্রি করা দরকার চড়া দামে! –বিবিসি
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: