ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

একটি টাকাও পায়নি আনোয়ারার ফুটবলাররা

প্রকাশিত: ১১:৪৬, ১৪ মার্চ ২০২০

একটি টাকাও পায়নি আনোয়ারার ফুটবলাররা

স্পোর্টস রিপোটার ॥ শুক্রবার মহিলা ফুটবল লীগে একটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। কমলাপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই খেলায় জয়ী হয় বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব। তারা ৩-১ গোলে হারায় স্পার্টান এমকে গ্যালাক্টিকো সিলেট এফসিকে। বিজয়ী দল খেলার প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল। বিজয়ী দলের সানজিদা আক্তার সাদিয়া (১১ মিনিটে), ইলামনি আক্তার ইলা (৩৬ মিনিটে) এবং অধিনায়ক স্বপ্না আক্তার (৭৯ মিনিটে) একটি করে গোল করেন। বিজিত দলের বিপাশা মালী (৯০ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে ১টি গোল পরিশোধ করেন। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে এটা ঢাকার উত্তরাভিত্তিক দল আনোয়ারার দ্বিতীয় জয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে। পক্ষান্তরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে এটা স্পার্টানের চতুর্থ হার। শূন্য পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তলানিতে (৭ দলের মধ্যে সপ্তম)। ম্যাচ শেষে বিজয়ী দলের কোচ আবদুর রব জামিল বলেন, ‘আমাদের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে অনেক সমস্যা। তারপরও আমরা লীগে রানার্সআপ হতে চাই, নইলে তৃতীয়। বসুন্ধরা কিংস অনেক ভাল দল। তাদের সঙ্গে পারব না।’ সমস্যাগুলো কী কী? ‘লীগ শুরুর আগে দলকে একদিনও অনুশীলন করানো সম্ভব হয়নি। চার-পাঁচটা প্লেয়ার তো ঢাকায় এসে স্রেফ জার্সি পরেই মাঠে নেমে গেছে খেলতে। প্লেয়ারদের রাখা হয়েছে উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে। ওখানেই সবাই খাওয়া-দাওয়া করে। ক্লাবের ম্যানেজারের বাসা থেকে তিন বেলা ওদের জন্য খাবার পাঠানো হয়। সমস্যা হচ্ছে মাঠের। উত্তরার একটি ক্যাম্পাস আছে, ওখানেই দলের অনুশীলন হয়। একেবারেই নিম্নমানের মাঠ। মাঠটি অসমতল, ধুলাবালিতে পরিপূর্ণ। বাতাস বইলে চোখেমুখে বালি ঢুকে যায়। রানিং-স্ট্রেচিং করানো গেলেও বল নিয়ে অনুশীলন করা খুবই কষ্টদায়ক।’ আনোয়ারার ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে আরও দুটি চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্লাবের এক কর্মকতা জানান, ‘দশদিন পর আমাদের পরবর্তী ম্যাচ। এই সময়ে কোথায় খেলোয়াড়দের জোর অনুশীলন করানো হবে তা না, উল্টো তাদের ছুটি দেয়া হয়েছে বাড়িতে যাবার জন্য এবং ফুলবাড়িয়াতে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে তিনটি ম্যাচ খেলে আসার জন্য। এর ফলে যে মেয়েরা ইনজুরিতে পড়তে পারে কিংবা ফিটনেস হারিয়ে ফেলবে এ নিয়ে তাদের কোন মাথাব্যথাই নেই। এখানেই শেষ নয়, আরও আছে। এই লীগে খেলার জন্য মেয়েদের সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছিল, সেই চুক্তি অনুযায়ী তাদের এখন পর্যন্ত একটি টাকাও দেয়া হয়নি (পারিশ্রমিক জনপ্রতি ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত)। এ নিয়ে খেলোয়াড়দের মনে ক্ষোভের-হতাশার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই নাকি কান্নাকাটিও করেছেন। ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য ভাড়াটুকু পর্যন্ত তাদের নেই। এ নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট সম্পূর্ণ উদাসীন। তাদের ভাবখানা এমন যে, খেলোয়াড়রা ক্লাবের জন্য খেলে তাদের ধন্য করছে।
×