ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এ শিল্পে জড়িতরা যাচ্ছেন অন্য পেশায়

ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ হারিয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ১১:০৯, ১৪ মার্চ ২০২০

ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাচ হারিয়ে যাচ্ছে

গৌতম পাণ্ডে ॥ ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে পুতুল নাচ দেখিয়ে মানুষের মধ্যে আনন্দ দিতাম। বিভিন্ন প্রোগ্রাম থাকত এবং অনেক প্রজেক্টের কাজও করতাম। এখন আর তেমন কাজ পাই না। দলের লোকজন নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। মাঝে মধ্যে যে কয়টা প্রোগ্রাম পাই, তার টাকা দিয়ে তেমন পোষায় না। আমাদের ছেলেমেয়েরা এ কাজটা এখন শিখতে চায় না। কারণ আমাদের নিজেদের এখন খুবই দুরবস্থা। আমি ঐতিহ্যটাকে কোন রকমে ধরে রেখেছি। আগে যেমন বিভিন্ন জায়গায় মেলা হত এখন আর তেমন হয় না। দিন দিন এ খেলাটি বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে এই পতুল নাচ। আমি আর এটা ছাড়তে পারছি না। যতদিন বাঁচি ধরে রাখব। আগে বাঘের খেলা, সাপের খেলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুতুল খেলা দেখাতাম। এখন আর সেসব নেই। সরকার যদি আমাদের কাম কাজের একটা পথ দেখিয়ে দিত, তাহলে বাঁচতাম। আমাদের তেমন কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই। পুতুল নাচের এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন’-বাঙালীর ঐতিহ্য পুতুল নাচ সম্পর্কে এমনই আক্ষেপের কথা বললেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘বাণী বীণা’ পতুল নাচ দলের কর্ণধার খেলু মিয়া। পুতুলের সঙ্গে মানুষের সখ্য অনেক দিনের। ছোট বেলা পুতুল নিয়ে খেলেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বোধহয় একটু কঠিন। প্রাণহীন পুতুলকে সচলতা প্রদান করা সেই বহুকাল থেকেই মানুষের ইচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা উঠে এসেছিল এক লোকনাট্য ধারা হিসেবে ‘পুতুল নাচ’। বিদেশে একে বলে ‘পাপেট’। পুতুল নাচ লোকনাট্যের অন্যতম প্রতীক। পহেলা বৈশাখে গ্রামীণ জনপদে যে সব মেলা হতো সেসব মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল পুতুল নাচ। সামাজিক বিভিন্ন বিষয়, পালাগান, পৌরাণিক কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হতো পুতুল নাচের মাধ্যমে। গ্রামীণ জনপদে আবালবৃদ্ধবনিতার বিনোদনে বিশেষ করে শিশুদের বিনোদনে পুতুল নাচ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় ও জৌলুসপূর্ণ বিনোদনের এ মাধ্যম আজ নানা কারণে হারিয়ে যাচ্ছে। আগের মতো পুতুল নাচে জৌলুস না থাকায় এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। ফলে খুব দ্রুত এ লোকনাট্যের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। নাট্যতাত্ত্বিক গর্ডন ক্রেইম বলেছেন, পুতুল নাচ নাটকের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ইনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটিনিকায় বলা হয়েছে ‘পাপেট ক্যান প্রোভাইড এ ডিগ্রী অব এ্যাবস্ট্রেট্রেন এ্যান্ড স্টাইলিসেসন আনএ্যটেইনেবল বাই হিউমেন এ্যাক্টরস’। নাট্যতাত্ত্বিকদের এত বড় উদাহারণ থাকার পরও দেশে পুতুল নাচ লোকশিল্পের মাধ্যমে বেশি দূর এগোয়নি। উল্টো ধ্রুপদী শিল্পের এই বাহনকে দিনে দিনে কলুষিত করে পুতুল নাচের আড়ালে অশ্লীল নাচ পরিবেশন করতে দেখা যায় বিভিন্ন মেলায়। জনশ্রুতি রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিপিন পাল ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম পুতুল নাচের প্রচলন করেন। কালক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন স্থানে। পরে এ শিল্পের হাল ধরেন জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের গিরীশ আচার্য, তার মিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মেড্ডা এলাকার ধন মিয়া, কালু মিয়া, রাজ হোসেন ও পৌর শহরের কাজীপাড়াা এলাকার শরীফ মালদার। কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা গেলেও এখন শিল্পী সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অন্য পেশায় আর্থিকভাবে লাভবান হন বলে শিল্পীরা এ পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। পুতুল নাচ নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন মুস্তাফা মনোয়ার। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পুতুল নাচ বিলুপ্ত অলমোস্ট হয়ে গেছে। পুরনো এই ঐতিহ্যটাকে পাকিস্তান আমল থেকে গ্রামের অনেকে ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে কেন যেন ভায়লেট করেছে। পতুল নাচ যারা দেখাতো তাদের সকলেই প্রায় এখান থেকে চলে গিয়েছে। বর্ডারের কাছে তাদের কয়েকজন আছে আর কলকাতার দিকে কয়েকজন আছে। বাংলাদেশের যে গ্রামগুলোতে নিশুতি রাতে আগে পুতুল নাচের গল্প চলতো, আজকাল সেসব আর হয় না। গ্রামগুলোতে শহুরে হাওয়া প্রবেশ করেছে যুগের হাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে। আজ আর অনেক কিছুই আগের মতো নেই। সেই সাথে নেই পুতুল নাচের ঐতিহ্যও। বিখ্যাত পুতুল নাচিয়ে ধন মিয়ার ছেলে অবশ্য পুরনো আবেগ আঁকড়ে ধরে আছেন এখনো। কিন্তু পুতুল নাচের অবস্থা আসলেই করুণ। মুস্তাফা মনোয়ার আরো বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধেও পুতুল নাচের ভূমিকা আছে। দলে দলে মানুষগুলো তখন শরণার্থী শিবিরে যাচ্ছিল। প্রাণের দেশটি ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট বুকে পুষে রেখেছিল তারা। শরণার্থী ক্যাম্পের দিনগুলোতে তারা নিশ্চয়ই ভাবত দেশ নিয়ে। কেমন আছে প্রিয় স্বদেশ? সেই দুঃসহ সময়টায় এই মানুষগুলোকে একটু স্বস্তি দিতে পুতুল নাচ করা হতো। পুতুল নাচের মাধ্যমে দেখানো হতো হানাদারদের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাহিনী। মানুষ আবার আশায় বুক বাঁধতো। আমাদের আর্ট কালচারের ব্যাপারটাকে আমরা গভীরভাবে চিন্তা করি না। এটাকে আমরা চিন্তা করেছি একটি অনুষ্ঠান হিসেবে। আর্ট কালচার যে মানুষের জীবনের চরিত্র নির্মান করে এটা আমরাতো ভুলেই গিয়েছিলাম এবং আজকেও ভুলে আছি। শুধুমাত্র ধর্ম দিয়ে মানুষের ভেতর চেতনা আনা যায় না। কথাটা বলছি কারণ এখানে তো ধর্ম দিয়েও তো ব্যবসা হয়। কালচারের মধ্য থেকে মানুষের যে উত্থান ছিল, তা তাদের নীতিগত প্রভাব পড়ত। সেইটা যখন চলে গেল আমাদের শুধুমাত্র পুতুল নাচ নয়, সব কালচারটাই চলে গেল। রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই বলেছেন-‘হুড়মুড়ে আনন্দ’। এক শ্রেণীর ধর্ম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যই ছিল এই হুড়মুড়ে আনন্দের। ব্যবসা করতে গেলে এইসব হুড়মুড় করতে হবে যেন কেউ না বোঝে গভীরে না যায়। এই যে পরিবেশ এটাতে প্রত্যেক দেশের সুস্থ কালচার সেটাকে কন্ট্রোল করে। আমি যখন আর্ট কলেজের শিক্ষক তখন প্রায়ই শুনতাম পাকিস্তানীরা ও পাকিস্তান ভাবাপন্ন লোকেরা বলত যে আমাদের কালচার নাকি ইসলামিক নয়। সেইটা টেলিভিশন শুরুর দিকে আমরা সব করেছি। নতুন কুড়িসহ নানা রকম ভাবে তোলা হলো মনের কথা। আর্ট কালচারটা একটা অনুষ্ঠান কিন্তু না। এটা হলো একেবারে অন্তরের শিক্ষা। আর্ট কালচারের মধ্য ছাড়া এ অন্তরের শিক্ষাটা আর কোথাও হয় না। মূল্যবান একটি কথা যে, আমরা সংস্কৃতির যা আছে তার দারোয়ান হবো না, তাকে লালন পালন করব। সংস্কৃতিতে দারোয়ান বসলে যে ক্ষতি হবে। পতুল নাচের ক্ষেত্রে আমি যেটা করলাম সেটা হচ্ছে-পুতুল নাচের সমস্ত চেহারা টেহারা সব কিছু ঠিক রেখে আরও একটিভ আরও টেলিভিশন ক্লোজ আপ দেখে। সেই ক্লোজাপের জন্যই তার মুখের ভঙ্গি-টঙ্গি হেন তেন যা চেঞ্জ হয় অনেক কিছু জানা হলো সেটা কিন্তু ট্রেডিশনকে বাদ দিয়ে নয়। একেবারে ট্রেডিশনের সমস্ত জিনিসটাকে নিয়ে আসা। পুতুল নাচ এমন একটি আর্ট যেখানে শিল্পকলার প্রায় সব উপাদান বিদ্যমান। গল্প, কবিতা, নাটক, অভিনয়, গান, নাচ, ভাস্কর্য এবং অন্যান্য দৃশ্যমান আর্টের সার্থক মিলন ঘটেছে পুতুল নাচে। পুতুল নাচিয়ে খেলু মিয়া আরও বলেন, আমার পুতুল নাচের দল অনেক আগের। শেষ এ দলটির হাল ধরেছিলেন আমার বাবা হোসেন আলী। বাবা মারা যাওয়ার পর আমিই এর হাল ধরেছি। মাঝে মধ্যে দুই একটি শোয়ের বায়না পাই। আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য এই পতুল নাচের দল। আমার বড় ভাই ধন মিয়ারও দল ছিল। এই কাজের সঙ্গে যারা ছিল প্রায় সবাই মারা গেছে। আমাদের দলগুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমার পরিবারের লোকেরাও এটার মধ্যে এখন আর নেই। এর কোন চাহিদা না থাকায় অন্য পেশায় চলে গেছে। এটা আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। সরকারীভাবে কোন অনুষ্ঠান হলে যদি আমাদের ডাকে তাহলে সেখানে যাই। সব অনুষ্ঠানে আমাদের রাখে না। আমরা শুধু পতুল নাচ করি না, আমরা তো শিক্ষার ওপরও কিছু করি। স্কুল কলেজেও আগে বিভিন্ন শো করতাম। ছোট ছোট স্ক্রিপ্ট প্রফেসরকে দিয়ে লেখায় এগুলো করতাম। কিন্তু বর্তমানে তাও আর হচ্ছে না। সরকারীভাবে কত অনুষ্ঠান হয় এগুলোতেও যদি একটু সুযোগ টুযোগ দিত তাহলে বাঁচতাম। আমরা জন্ম নিবন্ধন, কৃষিকাজ, গাছ লাগানোসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর কিছু দৃশ্য দেখাই। পতুল নাচের আমাদের তেমন কোন পৃষ্ঠপোষকতা নেই। খেলু মিয়া বলেন, পুতুল নাচের নাম করে অনেকে অশ্লীলতা করে বেড়ায়। এর বিরোধিতাতো আমি করে যাচ্ছি। উত্তর বঙ্গের কিছু লোক আছেÑ তার মধ্যে মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম এরা পতুল নাচের নাম দিয়ে মেয়ে-টেয়ে নাচায়। এ ব্যাপারেও আমি অনেক জায়গায় এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছি। এমনকি ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতেও এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছি। বিশ্বায়নের যুগে আধুনিক মনোরঞ্জনের পন্থা আর উপকরণ এসে যাওয়ায় আমাদের লোক সংস্কৃতির অনেকগুলো ধারা হারিয়ে যাচ্ছে। একসময় গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, পালাগান প্রভৃতি ছিল মনোরঞ্জনের প্রধান উপকরণ। কোন এক সময় গ্রামের বিভিন্ন মেলায় দশ থেকে পনেরো দিন ধরে পুতুল নাচ পালা চলত। কখনও ‘রাজা হরিশ্চন্দ্র’ কখনও মোল্লা নাসিরউদ্দিনের গল্প আবার কখনও নেহাত সামাজিক পালা ও হাস্যরস দিয়ে দর্শক সমাদর পেয়েছে দলগুলো। পুতুল নাচ নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক ড. হারুন রশিদ। তিনি দীর্ঘদিন পুতুল নাচ নিয়ে গবেষণা করে ৫০/৫৫টি দলের নাম উদ্ধার করতে পেরেছেন যারা পুতুল নাচ করে। তবে বর্তমানে মাত্র ২০/২৫টি দল পুতুল নাচচর্চাকে লালন করে আসছে। তিনি জানান, বাংলাদেশের পুতুল নাচের কথা বলতে গেলে ধন মিয়ার কথা উল্লেখ করতে হয়। পুতুল নাচের মধ্যে নতুনত্ব এনেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রয়াত এই পুতুল নাচের কুশলী। কৃষ্ণনগর গ্রামে গিরিশ আচার্যের পুতুল নাচের একটা দল ছিল। ধন মিয়া সেই দলে ছিলেন প্রাথমিক অবস্থায়। তার কাজ ছিল পুতুল নাচের তালে তালে গান করা। পুতুল নাচের শিল্পটিকে ভালবেসে ফেলেছিলেন ধন মিয়া। শেষ পর্যন্ত নিজেই পুতুল নাচের প্রদর্শনী শুরু করেন। তার পুতুল নাচের দলটার নাম ছিল ‘রয়েল বীণা অপেরা’। তিনি বাংলাদেশের পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে প্রদর্শিত পুতুল নাচকে নিয়ে গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক পরিম-লেও। ‘বড়শি বাওয়া’, ‘বাঘের কাঠুরিয়াকে ধরে নেয়া’ এবং ‘বৈরাগী বৈরাগীনির ঝগড়া’সহ বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী প্রদর্শন করে ধন মিয়া বিদেশেও বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। আশির দশকে এই মানুষটা পুতুল নাচ দেখাতে সোভিয়েত ইউনিয়নে গিয়েছিলেন। পুতুল নাচে মুগ্ধ করে তিনি অর্জন করেছিলেন বেশ কিছু পুরস্কার। যদিও পুতুল নাচ হারিয়ে যাচ্ছে তবুও বাংলাদেশে এটা যে আসলেই শক্তিশালী সেটির প্রমাণ মেলে ২০১৩ সালের একটি ঘটনায়। শিল্পকলা একাডেমির সার্বিক সহযোগিতায় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ‘ওয়ার্ল্ড পাপেট কার্নিভাল ২০১৩’ বাংলাদেশের একটি দল অংশ নেয়। প্রথমবারের মতো এই কার্নিভালে ড. রশীদ হারুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যায় টিমটি। ৪৬টি দেশের ৬৩টি দলের মধ্যে ‘বেস্ট ফোক পাপেট মিউজিক্যাল এ্যাওয়ার্ড’ জিতে নেয় বাংলাদেশ। কি অসাধারণ অর্জন! এমন অর্জনে স্বপ্ন তো দেখাই যায় যে, শিল্পটিকে আরেকটু উৎসাহিত করলে নিশ্চয়ই এটি আরও সম্মান বয়ে নিয়ে আসতে পারবে ভবিষ্যতে। সঙ্গে আবহমান গ্রামীণ জীবনের আখ্যানগুলো অন্তরে লালিত হবে। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্রহের জায়গা থেকে এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরলেও চাহিদার জোগান মেটাতে পারিশ্রমিক না থাকায় পিছিয়ে পড়ছেন অনেকেই। সরকারের পক্ষ থেকে শিল্পকলার মাধ্যমে বার্ষিক যে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে সেটি অবশ্যই ভাল কিন্তু যথার্থ নয়। বছরব্যাপী পুতুল নাচের যে কার্যকলাপ চলবে সেটির কোন পরিকল্পনা নেই বা শিল্পটি আজ থেকে আগামী দশ বছর পরে কোন জায়গাটাতে থাকবে সে ধরনের কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা দেশে নেই।
×