ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ॥ বাদল রায়ের একাত্মতা প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ১৪ মার্চ ২০২০

ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে ॥ বাদল রায়ের একাত্মতা প্রকাশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের সভার পর চাঙ্গা এখন বাফুফের আসন্ন নির্বাচন। ক্লাব প্রতিনিধিদের কণ্ঠে একই সুর পরির্বতন চাই। সালাউদ্দিন হটাও, ফুটবল বাঁচাও। ক্লাব প্রতিনিধিদের দাবির প্রতি জোর সমর্থন জানিয়েছেন বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি এবং বাফুফের আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী জাতীয় দলের এক সময়ের মাঠ কাঁপানো ফুটবলার বাদল রায়। তিনি বলেন, রুহুল আমিন একজন ভাল মানুষ। তিনি ক্লাব প্রতিনিধিদের নিয়ে যে সভা করেছেন এবং সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে আমি ব্যক্তিগতভাবে সেই বিষয়গুলোর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছি। সালাউদ্দিনের সঙ্গে তো ১২ বছর কাজ করেছি। ফুটবলের কি বেহাল অবস্থা তিনি করেছেন সেটা সবাই অবগত। পরিবর্তনের যে ডাক এসেছে, সেই ডাকের সঙ্গে আমিও আছি। ক্লাব এ্যাসোসিয়েশন, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন, ফোরাম সবার সঙ্গে আলোচনা করেই প্যানেল ঠিক করা হবে। আমাকে তাদের সঙ্গে রাখা হলে অবশ্যই থাকব। তবে জেলা, ক্লাব এবং ফোরাম সবার সঙ্গে আলোচনা করে যারা যোগ্য তাদের নিয়ে একটা শক্ত প্যানেলের পক্ষে আমি। যে সিদ্ধান্তই আসবে সবার সঙ্গে আলোচনা করেই নেয়া হবে। প্রাণ ফিরেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নির্বাচনে। ঝিমিয়ে পড়া নির্বাচনে গতি ফিরিয়ে এনেছেন তরফদার মোঃ রুহুল আমিন। আগামী ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের বহুল আলোচিত নির্বাচন। সেখানে সভাপতি পদে নির্বাচন না করলেও, নির্বাচনের মাঠে থাকার জোর ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের বস রুহুল আমিন। একই সঙ্গে সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ মোট ২০ জনের শক্ত প্যানেল দেয়ার কথাও বলেছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন ডেকে আপাতত বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন না এমন ঘোষণা দেন রুহুল আমিন। পরশু ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ ক্লাব এ্যাসোসিয়েশনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নিজের পূর্বাবস্থানের কথা পুনরায় ব্যক্ত করেন ক্লাবস এ্যাসোসিয়েশনের নেতা তরফদার রুহুল আমিন। বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও গত নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, এটাই তার শেষ। তাতে করে নির্বাচনী মাঠ বলতে গেলে ফাঁকাই ছিল। সালাউদ্দিনের ওই ঘোষণার পর থেকে রুহুল আমিন নিজেকে নির্বাচনী মাঠে সম্পৃক্ত করেন। অবশ্য নির্বাচনী মাঠে নামার আগে অবহেলিত তৃণমূল ফুটবলের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেন। দীর্ঘদিন অন্ধকারে থাকা জেলা লীগ চালু করেন। ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত চষে বেড়ান। বাফুফের কোন পদে না থেকেও শুধু ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দেন অন্তঃপ্রাণখ্যাত এই সংগঠক। কাজ দিয়ে মানুষের মনে আলাদাভাবে জায়গা করে নেন। ফুটবলের প্রতি রুহুল আমিনের এমন ভালবাসাই তাকে আলোচনায় নিয়ে আসে। বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল এ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ক্লাবস এ্যাসোসিয়েশনের নেতারা রুহুল আমিনকে বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করার মনোনয়ন প্রদান করেন। দুই এ্যাসোসিয়েশনের মনোনয়ন পাওয়ার পর নিজেকে বাফুফের আগামী নির্বাচনে সভাপতি পদের একজন প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন রুহুল আমিন। কিন্তু তার ওই ঘোষণার পর থেকেই ফুটবলে যেন এক অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়। প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হন রুহুল আমিন। শুরু হয়ে যায় পক্ষ-বিপক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি। এমতাবস্থায় শুধু ফুটবলের স্বার্থে, ফুটবলের উন্নয়নের স্বার্থে নিজেকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে নেন। এই সরে যাওয়ার জন্য তিনি কাউকে দোষারোষ করছেন না। নিজেই বলেছেন, কারও চাপে নয়, অনুরোধে নয়। ফুটবলের স্বার্থে সরে গেছেন তিনি। তবে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দেননি। সভাপতি বাদে ২০ জনের শক্ত প্যানেল নিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
×