ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে প্রসূতির সন্তান প্রসব

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৪ মার্চ ২০২০

হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে প্রসূতির সন্তান প্রসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৩ মার্চ ॥ হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্বরে ভ্যানে ওপর প্রসূতির সন্তান প্রসব। প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে তাকে সিজার করতে পাঠিয়ে দেয়া হয় বেসরকারী ক্লিনিকে। সন্তান প্রসবের সময় নার্স ও চিকিৎসকরা এগিয়ে আসেনি। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চত্বরের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব বিছনদই গ্রামে দিনমজুর রুহুল আমিনের মেয়ে মনিফা বেগম (২২) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রসব বেদনা শুরু হয়। তাকে রাত ১০টায় ভ্যানযোগে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। প্রসূতি মা মনিফার ছোট ভাই রাকিব (১৫) হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর প্রসব বেদনা ফটফট করা প্রসূতিরকে কতব্যরত নার্স, আয়া ও চিকিৎসক কেউ সহযোগিতা করেনি। উল্টো ক্লিনিকে নিতে বলেন ডিউটিরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা ও রঞ্জিলা বেগম। রাকিব তার বোনকে নিয়ে হাসপাতালের নিচে নেমে এসে রাত সাড়ে ১২টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে চত্বরে এক মহিলার সহযোগিতায় ভ্যানের ওপরই মনিফার একটা ফুটফুটে ছেলে শিশুর জন্ম হয়। বাচ্চাটি বর্তমানে সুস্থ আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডিউটিরত সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা বেগম জানান, প্রসূতি মা মনিফা বেগম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রঞ্জিলা আপাসহ আমরা স্বাভাবিক প্রসবের অনেক চেষ্টা করেছি। তার জরায়ুর মুখ খোলা থাকলেও জরায়ুর বাইরে কট প্রলাভ্স (ফুলের একটা অংশ) থাকায় ঝুঁকি নিতে সাহস পাইনি। এখানে সিজার হয় না। তাই ক্লিনিকে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেই। তবে কোন রেফার্ড (ছারপত্র) ছাড়া সরকারী হাসপাতাল হতে বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি একজন প্রসূতি মহিলা রাত ১২টার পর কিভাবে হাসপাতালের বাইরে গেল এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি নার্স তাহমিনা বেগম।
×