ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর জেনারেল হাসপাতালে খাবারে অনিয়ম বন্ধে কঠোরতা

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১৪ মার্চ ২০২০

যশোর জেনারেল হাসপাতালে খাবারে অনিয়ম বন্ধে কঠোরতা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহে অনিয়ম বন্ধে কঠোর হয়েছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায় খাবারের নতুন তালিকা তৈরি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে তত্ত্বাবধায়ক জানান, তালিকার নির্দেশনা অনুযায়ী রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ না করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সরকারী এই হাসপাতালে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনিয়মের বিষয়ে হাসপাতাল জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জোরালো আলোচনা, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের পরও খাবার সরবরাহে অনিয়ম থেমে থাকেনি। দুই বেলায় সামান্য পরিমাণে পোল্ট্রি মুরগির মাংস নতুবা ছোট সাইজের এক টুকরো মাছ দিয়ে নামমাত্র খাবার বিতরণ করা হয়। সকালের নাস্তায় ১টি কলা, ছোট সাইজের ডিম ও পাউরুটি দেয়া হতো রোগীদের। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য আলাদা খাবার দেয়ার নিয়ম থাকলেও মানা হয়নি। সব রোগীকে একই খাবার বিতরণ করা হয়। হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ দিলীপ কুমার রায় এই হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদানের পর খাবারের অনিয়ম বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। রোগীদের সঠিক পরিমাণে উন্নত খাবার বিতরণ নিশ্চিত করতে তত্ত্বাবধায়ক খাবাবের নতুন তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে ১ ও ২ নম্বর খাদ্যপ্রাপ্ত রোগীদের প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ১শ’ গ্রামের পাউরুটি, ২টি কলা ও ১টি ডিম ও ৬ নম্বর খাদ্যপ্রাপ্ত রোগীদের (ডায়াবেটিকস) ৩টি আটার রুটি ও ২টি ডিম। ১, ২ ও ৬ খাদ্যপ্রাপ্ত রোগীদের দুপুরের খাবারে থাকবে ২শ’ গ্রাম ভাত, ৮০ গ্রাম মাছ অথবা পোল্ট্রি মুরগির মাংস, ১ ও ২ খাদ্যপ্রাপ্ত রোগীদের রাতের খাবার ২শ’ গ্রাম ভাত, ১টি ডিম ও ১শ’ গ্রাম সবজি ও ৬ নম্বর খাদ্যপ্রাপ্ত রোগীদের জন্য (ডায়াবেটিকস) ৩টি আটার রুটি, ১শ’ গ্রাম সবজি মাছ অথবা মুরগি ৩৬ গ্রাম। এছাড়া সঠিক পরিমাণে তেল মসলা ব্যবহারের মাধ্যমে রান্নার মান ভাল করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলীপ কুমার রায় জানান, খাবারের তালিকা সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রত্যেক ওয়ার্ডে খাবারের তালিকা ঝুলিয়ে রাখার জন্য। তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন কোন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেবেন না।
×