ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীবাসীর পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে যারা কাজ করে ওরা ভাল নেই

প্রকাশিত: ১১:১০, ১৩ মার্চ ২০২০

রাজধানীবাসীর পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনে যারা কাজ করে ওরা ভাল নেই

মশিউর রহমান খান ॥ ভাল নেই রাজধানীবাসীর পরিচ্ছন্ন জীবনের প্রধান সহযোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। জীবনযুদ্ধে কোনমতে টিকে আছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। প্রতিনিয়তই মানবসৃষ্ট দুর্ভোগের সঙ্গে যুদ্ধ করেই কাটছে তাদের জীবন। রাতের মধ্যেই নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অনেকটা বাধ্য হয়ে মধ্যরাত থেকে শুরু করে দিনের সকল সময়ই রাস্তার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত থাকতে দেখা যায় তাদেরকে। সব সময় নোংরা পরিবেশে কাজ করায় তাদের শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ। এমনকি জীবিকা নির্বাহের কারণে কাজে ব্যস্ত থাকায় ডাক্তারের কাছেও যেতে সময় ও অর্থ কোনটাই তাদের নেই। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে নির্দিষ্ট বেসরকারী হাসপাতাল নামমাত্র চিকিৎসা সেবা প্রদান করলেও স্বাস্থ্যের কোন উন্নতিও চোখে পড়ে না। সারাবছরই লেগে থাকে কোন না কোন রোগ। এ নিয়েই প্রতিদিনের জীবন চলছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর। স্বামী-স্ত্রী-সন্তানদের দিকে তাকিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই জীবিকার তাগিদে উর্ধতনদের অনেক প্রকার অন্যায় নির্দেশও নীরবেই মেনে নিতে তারা এক রকম বাধ্যই হচ্ছেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নাগরিকদের জীবন চলার পথ পরিচ্ছন্ন করতে দিনরাত কাজ করলেও তাদের জীবনের অগোচরে রয়েছে নিকষ কালো অন্ধকার। চাহিদার তুলনায় স্বল্প বেতন, পর্যাপ্ত আবাসন না থাকা,স্বাস্থ্য সুরক্ষায় তেমন কোন ব্যবস্থা না থাকা, পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য অত্যন্ত নি¤œমানের উপকরণ প্রদান, অসুস্থতায় ছুটি চাইলেও দৈনিক মজুরির হওয়ায় উর্ধতনদের কাছ থেকে ছুটি না পাওয়া, গ্লাভস বা মাস্ক ব্যবহার না করেই কাজ করা, যথাযথ সুরক্ষা ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে সনাতন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করাসহ নানা সমস্যায় দিন কাটাতে হচ্ছে তাদেরকে। এমনকি দায়িত্বরত অবস্থায় যে কোন প্রকার দুর্ঘটনায় অপ্রতুল সাহায্য প্রদান, এমনকি মৃত্যু ঘটলেও সিটি কর্পোরেশন তথা সরকারের তেমন কোন দায়বদ্ধতাই যেন নেই। অনেক বছর পর বর্তমান সরকার তাদের আবাসনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেও সকল পরিচ্ছন্নতাকর্মীর শতভাগ আবাসনের ব্যবস্থা এখনও হয়নি। প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম আবাসনের ব্যবস্থাই রয়েছে। এছাড়া আবাসনের বরাদ্দ পেতেও রয়েছে নানা ভোগান্তি। সেখানেও চলে অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব। সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রতিদিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টন। বাড়ি থেকে শুরু করে ল্যান্ডফিলে পৌঁছানো পর্যন্ত এসব বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় নয় হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী। প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের যথাযথ সুরক্ষা না থাকা ও একই সঙ্গে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে সনাতনী পদ্ধতিতে ম্যানুয়ালি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করায় অধিকাংশ সময়ই নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে তাদেরকে। দিনে বা রাতে সবসময়ই ধুলাবালিতে কাজ করে বিধায় বিশেষ করে শ্বসনতন্ত্রের নানা রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। জানা গেছে, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বর্তমানে বছরে ২ বার যাতে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয় তার জন্য বিশেষ বিবেচনা করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি প্রদান করেছে। এটি দেয়া সম্ভব হলে বর্তমানের চেয়ে মাঠে কাজ করতে তাদের কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হবে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়া হবে। আবাসন সঙ্কটের কারণে বর্তমানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনেক কষ্ট করে দিন কাটাচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন স্থাপিত হওয়ার এত বছরেও সকল কর্মীর জন্য শতভাগ স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেনি সংস্থাটি। বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ মাত্র ৪০ ভাগ পরিচ্ছন্ন কর্মীর বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের দাবি অনুযায়ী তাদের নিজস্ব জমিতেই ঘর নির্মাণ করে থাকছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। ডিএসসিসি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও একান্ত আগ্রহে বর্তমানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে বর্তমানে ডিএসসিসিতে মোট ১০ তলা ১৩টি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএসসিসির নিজস্ব উদ্যোগে ১০ তলা বিশিষ্ট আরও ১০টি ভবন নির্মাণ করছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ৪টি ভবন ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ভবনগুলোর কাজ শেষ করার পরও সর্বোচ্চ ৬০ ভাগ কর্মীর আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী তিন বছর ধরে দুই সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল। এ পর্যন্ত এ হাসপাতাল থেকে নানা রোগে প্রায় ১ হাজার ৮০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে শুধু ৬০ শতাংশ কর্মীই শ্বসনতন্ত্রের নানা সমস্যায় চিকিৎসা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবত এ সমস্যায় থাকলেও তাদের কোন প্রকার উন্নতির লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২টি নিজস্ব হাসপাতাল, প্রতিটি ওয়ার্ডের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে মাত্র ৫ টাকার টিকেট কেটে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। তবে যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এসব হাসপাতালে বিশেষ করে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের বহনকারী রোগের চিকিৎসার সঠিক সমাধানই করা সম্ভব হয় না। সংশ্লিষ্টদের মতে, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এখনও সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়া পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে যেসব সুরক্ষা উপকরণ প্রদান করা হয় তা পর্যাপ্ত এবং যথোপযুক্ত মানসম্মত নয়। এর বাইরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা শিক্ষিত না হওয়ায় ও বাধ্য হয়েই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন যাপন করায় তারা স্বাস্থ্য সম্পর্কে তেমন সচেতন নয়। এর ফলে তাদের অনেকেই কিছুদিন পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেই তুলনায় তারা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতেও তেমন একটা আগ্রহী হন না। ফলে অসুস্থতা নিয়েই মাঠে নেমে পড়েন পরিচ্ছন্নতামূলক কাজে। সুত্র জানায়, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের রেইনকোট, মাস্ক, গ্লাভস ও বুট জুতাসহ বিভিন্ন সুরক্ষা উপকরণ নিয়মিত সরবরাহের কথা থাকলেও এসব উপকরণ অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় প্রদানের পর দু-তিন সপ্তাহের বেশি ব্যবহারের উপযোগী থাকে না বা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া একবার নষ্ট হওয়ার পর নতুন করে উপকরণ পেতেও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অনেক সময় লাগে। ফলে কোন প্রকার উপকরণ ছাড়াই নিয়মিত কাজে নামছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে, অনেক পরিচ্ছন্নতা কর্মী দু-তিন বছর ধরে সুরক্ষা উপকরণ পাচ্ছেন না। ফলে সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই কাজে নামছেন তারা। সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ পরিচ্ছন্নতাকর্মী বর্জ্য অপসারণের সময় মুখে মাস্ক পরেন না। অনেক ক্ষেত্রে কোন ধরনের সুরক্ষা উপকরণই ব্যবহার করেন না। ফলে দীর্ঘদিন এ পেশায় কাজ করতে গিয়ে নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা, ফুসফুসে ক্যান্সারসহ শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এছাড়া খালি হাতে এসব বর্জ্য অপসারণ করায় তাদের মধ্যে চর্মরোগের প্রকোপও অনেক বেশি। এছাড়া ত্বকের ক্যান্সারেও রূপ নেয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই সিটি কর্পোরেশন তাদের প্রতিবছরই স্কিনিং টেস্ট করেন। চিকিৎসকদের মতে, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সর্দি-কাশি অ্যাজমাসহ শ্বসনতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা ছাড়াও প্রায়ই জ্বর, পেটের ব্যথা, চর্মরোগসহ নানা রোগে ভোগেন। এছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কারণে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। উপরন্তু কাজের জন্য দেয়া সুরক্ষা উপকরণগুলোও মানসম্মত ও যথাযথ নয়। ফলে অসুস্থ হওয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। জানা গেছে, বর্তমানের ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মোট ৫ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে প্রায় ২৪০০ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন। দুই সিটিতে এর বাইরেও রয়েছে অস্থায়ী পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপদেষ্টা মিল্লাতুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমাদের প্রায় ৫ হাজার ৩শ’ পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন। তাদের কাজের পরিবেশ ভাল রাখতে সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। তবে শিক্ষার হার কম থাকায় স্বাস্থ্য সম্পর্কে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ততটা সচেতন নয়। তাদেরকে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বছরে একবার হ্যান্ড গ্লাভস, মাস্ক প্রদান করলেও অনেক সময়ই তারা তা ব্যবহার করতে আগ্রহী হয় না। এছাড়া তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ডিএসসিসির নিজস্ব দুটি হাসপাতালে মাত্র ৫ টাকার টিকেট দিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ওষুধও দেয়া হয়। এছাড়া যে কোন পরিচ্ছন্নতাকর্মী প্রতিটি ওয়ার্ডে স্থাপিত স্বাস্থ্য ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসনের কিছুটা সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আগে আবাসনের অনেক সমস্যা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও একান্ত আগ্রহে বর্তমানে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পে বর্তমানে ডিএসসিসিতে মোট ১০ তলা ১৩টি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া ডিএসসিসির নিজস্ব উদ্যোগে ১০ তলা বিশিষ্ট আরও ১০টি ভবন নির্মাণ করছে। জানা গেছে, ইতোমধ্যেই ৪টি ভবন ডিএসসিসিকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ভবনের কাজ শেষ করার পর আশা করি ৭০ ভাগ কর্মীর আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। এছাড়া বাকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থার কাজ চলমান রয়েছে। তবে তিনি পরিচ্ছন্নতা কাজে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বনের প্রতি জোর দেন একই সথে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও সচেতন হওয়া ও তাদের স্বাস্থ্য রক্ষায় কাজ করার প্রতি বিশেষ জোর দেয়া হবে বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সম্পর্কে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিতদের নানা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়। আমরা তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেসরকারী হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অধিক সচেতন না হওয়ায় রাস্তায় কাজ করার জন্য গ্লাভস, বুট, মাস্কও অনেকেই ব্যবহার করতে চান না। ফলে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে তাদেরকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। বর্তমানে আমরা বছরে যে একবার এসব উপকরণ প্রদান করি তা দুইবার দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া চলমান আবাসন সঙ্কট দূর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত আগ্রহে গাবতলীতে সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জমিতে তাদের জন্য উন্নতমানের আধুনিক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ভবন তৈরি করা হচ্ছে। যার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি এর মাধ্যমে আবাসন সঙ্কট অনেকাংশেই কমে আসবে। এছাড়া আমরা পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই আধুনিক করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও আধুনিক বর্জ্যবাহী ট্রাক ক্রয় করছি। এছাড়া পুরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই বর্তমানের চেয়ে আধুনিক করার উদ্যোগ নেয়া হবে। আশা করি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এ বিষয়ে বেশ গুরুত্বের সঙ্গেই কাজ শুরু করা হবে।
×