ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চিঠিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ বানান বারবার ভুল ॥ প্রতিবাদের ঝড়

প্রকাশিত: ১৩:১২, ১২ মার্চ ২০২০

চিঠিতে ‘বঙ্গবন্ধু’ বানান বারবার ভুল ॥ প্রতিবাদের ঝড়

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে পর্যালোচনা সভায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলার চার সংসদ সদস্যকে দেয়া আমন্ত্রণপত্রে ‘বঙ্গবন্ধু’ বানান ভুল লেখায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে। পর্যালোচনা সভাটি স্থগিত করার জন্য যে চিঠি দেয়া হয়েছে তাতেও ‘বঙ্গবন্ধু’ বানান ভুল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দেয়া ওই চিঠি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে এক সংসদ সদস্য লিখেছেন ‘অতিগুরুত্বপূর্ণ পত্রে বঙ্গবন্ধু বানান।’ গত ৯ মার্চ ০৫.৪৪.৮৭০০.০১০.২১.০০৩.২০ ২২৪ নং স্মারকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে পর্যালোচনা সভা উপলক্ষে সাতক্ষীরার ৪ সংসদ সদস্যকে জেলা প্রশাসকের পক্ষে সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজীত সাহা পত্র প্রেরণ করেন। চিঠিতে ১১ মার্চ দুপুর ১২টায় পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়। চিঠিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের বানান চিঠির বিষয়সহ তিন স্থানে ভুলভাবে ‘বঙগবন্ধ’ লেখা হয়েছে। বিষয়টি এক সংসদ সদস্যের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে আমন্ত্রণ পত্রের ছবিসহ গুরুত্বপূর্ণ চিঠিতে এ ধরনের ভুলের কথা উল্লেখ করেন এবং বানান তিনটি হাইলাইট মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে একটি স্ট্যাটাস দেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় তোলে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি আরও একটি চিঠি তার পোস্টে সংযুক্ত করেছেন সেখানে দেখা যায়, পর্যালোচনা সভাটি ‘অনিবার্য কারণবসত’ স্থগিত করা হয়েছে। যেখানে আবারও বঙ্গবন্ধু বানান তিন জায়গায় ভুলভাবে ‘বঙগবন্ধ’ লেখা হয়েছে। চিঠি দুটির স্মারক নম্বর এবং তারিখ অভিন্ন। সভা স্থগিতের চিঠিটিও ০৫.৪৪.৮৭০০.০১০.২১.০০৩.২০ ২২৪ নং স্মারকে এবং ৯ মার্চ ২০২০ তারিখ দিয়ে ইস্যু করা হয়েছে। শেষের চিঠিতে সভা স্থগিত করে দেয়া হলেও চিঠির শেষ অংশে লেখা হয়েছে, ‘বর্ণিত সভায় যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে সবিনয়ে অনুরোধ করা হলো।’ বিষয়টি নিয়ে জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। জেলা ছাত্রলীগের সদ্যবিদায়ী কমিটির যুগ্মসম্পাদক আসিফ শাহবাজ খান তার ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এদিকে চিঠি দুটির বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ইন্দ্রজীত সাহা বলেন, ‘অফিস সহকারী ভুল করে এমনটা করে ফেলেছেন যদিও আমার এটা দেখা উচিত ছিল। পরবর্তী চিঠিটিও পূর্বের চিঠি থেকে কপি করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেছেন। এটা সম্পূর্ণভাবে অনিচ্ছাকৃত করনিকের মিসটেক। সভাটি স্থগিত করা হবে বিধায় প্রথম চিঠিটি বিতরণ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু এমপির বাসায় চিঠি দেয়া হয়ে গিয়েছিল। তাই সভা স্থগিতের আরেকটি চিঠিও দেয়া হয়েছিল।’ একই স্মারক এবং তারিখে চিঠি দেয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আগের চিঠির স্থলে প্রতিস্থাপিত হয়েছে মর্মে করা যায়।
×