ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ক্লাস চালুর দাবিতে শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনশন

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১২ মার্চ ২০২০

ক্লাস চালুর দাবিতে শাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনশন

শাবি সংবাদদাতা ॥ ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে আমরণ অনশন করছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১১ শিক্ষার্থী। বুধবার বেলা ১১টা থেকে একাডেমিক ভবন ‘এ’ এর সামনে তারা আমরণ অনশনে বসেছেন। এছাড়া বিভাগের অন্য শিক্ষার্থীরাও তাদের সঙ্গে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন। জানা যায়, গত ৪ মার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা সকল শিক্ষকের সর্বসম্মতিক্রমে বন্ধ থাকবে।’ কিন্তু কি কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে এ নিয়ে কিছু বলা হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম বলেন, ‘ওরা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। অসৌজন্যমূলক আচরণের পরই বিভাগের সাধারণ সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। এ নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আমরা ক্লাসে যাব। গত এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। এক্ষেত্রে সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে খাবার বিতরণকালে বিভাগের এক শিক্ষকের কাছে টোকেন চাওয়ায় তিনি মনঃক্ষুণœ হন। এ ঘটনায় পরদিন ২৯ ফেব্রুয়ারি নৈশভোজ অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রধান শামছুন নাহার বেগমের স্বামী ও সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষক আল্লাউদ্দিন খান ওই স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত ও হুমকি প্রদান করেন। এসময় বিভাগের প্রধান শামছুন নাহার ও ছাত্র উপদেষ্টা ওমর ফারুক সামনে উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি পেশ করে। এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমার কাছে আসেনি। বিশ^বিদ্যালয়ের যা নিয়ম নেই তা তো শিক্ষার্থীরা হাতে তুলে নিতে পারে না। ওদের তালিকা থেকে বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা কেন নিয়োগ দিতে হবে। এটা কি ছাত্রদের কাজ? তাছাড়া বিভাগের অনেক সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ রয়েছেন ছাত্রদের এমন একটি অনশনের পর্যায়ে যাওয়ার আগে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার দরকার ছিল। তবে শিক্ষকদের ক্লাসে যাওয়া উচিত। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করা ঠিক নয়।’
×