ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাচীন যুগের বড়শি

প্রকাশিত: ১১:৪০, ১২ মার্চ ২০২০

প্রাচীন যুগের বড়শি

আদিম মানুষ দ্রুতই মাছ শিকার করতে শিখে ফেলেছিল তার বড় প্রমাণ পাওয়া যায় প্রতœতাত্ত্বিকরা যখন প্রায় ৩৫ হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দের বড়শির খোঁজ পান। এগুলো মূলত জীবজন্তুর হাড়, শক্ত ঝিনুক, পশুর শিং আর গাছের শক্ত ডালপালা দিয়েই তৈরি করা হতো। প্রাথমিক অবস্থায় অবশ্য শুধু গাছের ডালপালা দিয়েই বড়শি বানিয়ে মাছ ধরতে শিখেছিল তারা। মাছ শিকারের ক্ষেত্রে হয়তো ডালপালার বড়শিই বেশি সুবিধাজনক ছিল। কেননা সত্তরের দশকেও কাঠনির্মিত বড়শি ব্যবহৃত হতো জলজ প্রাণী শিকারের কাজে। ধীরে ধীরে সাধারণ বড়শিকে কাঁটাযুক্ত বড়শিতে পরিণত করে খাবার তালিকায় নিয়মিত মাছের পদ নিশ্চিত করে ফেলে তারা। ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতœতত্ত্ববিদরা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পূর্ব তিমুরে চুনাপাথরে তৈরি জেরিমালাই নামে এক গুহায় এ ধরনের বড়শিসহ বিশাল আকারের টুনা জাতীয় মাছের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। প্রথমে ঝিনুকের শক্ত খোলের তৈরি ভাঙ্গা বড়শির সন্ধান পেলেও পরে সেখান থেকেই ৩৮ হাজারেরও বেশি মাছের কাঁটা আবিষ্কৃত হয় এবং পরীক্ষাগারে কাঁটাগুলোর বয়স প্রায় ৪২ হাজার বছর বলে জানা যায়। তারপরই ধারণা করা হয়, ৪২ হাজার বছর আগেও আদিম মানুষ বড়শি দিয়ে মাছ শিকারে পটু ছিল। -ওয়েবসাইট
×