ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর ‘মানুষ’ নাটকের প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ১১:১৯, ১০ মার্চ ২০২০

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নির্ভর ‘মানুষ’ নাটকের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারুণ্যনির্ভর নতুন নাট্যদল শূন্যেয়া। আর নাট্যদলটির প্রথম প্রযোজনাটির শিরোনাম ‘মানুষ’। সম্প্রতি মঞ্চে আসা নাটকটির পঞ্চম প্রদর্শনী হলো সোমবার। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীনির্ভর নাটকটি। জাভেদ মাহমুদের রচনা থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন নাজমুল হোসেন। নাটকের গল্পে উঠে এসেছে সমাজ বাস্তবতা-রাজনীতি-উন্নয়ন-ধর্ম-ঈশ্বর-বিশ্বাসসহ মানবজীবনের নানা দিক। গল্পটি মানব সভ্যতার শুরু থেকে বর্তমান হয়ে সুদূর ভবিষ্যত পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। বিজ্ঞানের যে যাত্রা তা বর্তমান থেকে বহু আগেই পৃথিবীতে ঘটেছিল এবং মানুষ তার নিজের সুবিধার জন্যই অনেক কিছু আবিষ্কার ও উদ্ভাবন করেছে। কিন্তু জীবনকে খুব সহজ করার এই প্রচেষ্টা কখনওবা সুফলের পরিবর্তে কুফল বয়ে এনেছে। হিতে বিপরীত হয়েছে।। সেই সুবাদে প্রযুক্তি ফাঁদে বন্দী হয়েছে মানুষ। তেমন কাহিনীই উঠে এসেছে এই নাটকে। সেই গল্পে মানবসৃষ্ট যন্ত্র রোবটে মানুষ নিজেই বন্দী হয়ে পড়ে। আর মানুষের তৈরি এই যান্ত্রিক রোবটই মানুষের যাবতীয় কার্যসম্পাদন করে। এমন অবস্থায় মানুষের হুমকি হয়ে দাঁড়ায় ষষ্ঠ প্রজাতির একটি রোবট। তাই হিউমোএন্ড্রায়েড-৭০৫ নামের রোবটটিকে ধ্বংস করার দায়িত্ব দেয়া হয় চৌকস কর্পোরেশনের কর্মকর্তা এ্যালেনকে। এই হিউমোএন্ড্রোয়েড রোবটটি নিজেকে মানুষ হিসেবে দাবি করেছে এবং স্বাধীন হতে চেয়েছে। একজন মানুষ একই সঙ্গে ভাল-মন্দ উভয় গুণসমৃদ্ধ। আর ষষ্ঠ প্রজাতির রোবটটি ছিল কেবলমাত্র মানবীয় ভাল গুণ দিয়ে তৈরি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় রোবটে যখন মানবীয় ভাল-মন্দ উভয় গুণাবলী সংযুক্ত হয় তখনই শুরু হয় মানুষের বিপন্ন হবার গল্প। নাটকে দেখা যায় অনেক যুক্তিতর্ক শেষে ষষ্ঠ প্রজাতির হিউমোএন্ড্রোয়েডকে ধ্বংস করতে গেলেই সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে নতুন আরেক সঙ্কট। মুখোমুখি হচ্ছে ¯্রষ্টা ও সৃষ্টি। উন্মোচিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকে আরেকটি সত্য।
×