ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ১০ মার্চ ২০২০

ঢাকার দিনরাত

ফাল্গুন মাসে ঢাকায় বৃষ্টি হবে- এমন কোন কথা নেই। কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি সাধারণত চৈত্র মাসেই হয়ে থাকে। জলবায়ুর পরিবর্তন অনেক কিছুই ওলট-পালট করে দিচ্ছে। তাই ফাল্গুনেও অকাল কালবৈশাখী হলে আমরা আর অবাক হই না। ঢাকার বৃষ্টি বরাবরই বিড়ম্বনাময়। উপভোগ্য একটা বিষয় কালে কালে হয়ে উঠেছে বিড়ম্বনাময়। এর জন্য আমাদের অপরিণামদর্শিতাকেই দুষতে হবে। অমরা পরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে তুলিনি। বরং যথেচ্ছাচার করেছি শহরকে ছড়িয়ে দিয়ে, খালি জমি, জলাভূমি ও নিম্নাঞ্চলকে দস্যুর মতো গ্রাস করে আকাশছোঁয়া সব ফ্ল্যাটবাড়ি বানিয়ে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাও সুষ্ঠু ও উন্নত নয় বলেই অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে ঢাকা। ফলে মানুষের জীবনযাত্রা ভোগান্তিময় হয়ে উঠছে। ফাল্গুনী বৃষ্টি তাই নগরবাসী উপভোগ করতে পারেনি। ঢাকায় করোনাভাইরাস : সতর্ক থাকুন শেষ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা গেল। এখন ঢাকায় করোনা ভাইরাস। এখন অতিরিক্ত সাবধান হওয়ার পালা। সুতরাং সতর্কতা ও সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি কথা। তাই জনস্বার্থে ডা. আবদুন নূর তুষারের সদ্য রচিত লেখাটির নির্বাচিত অংশ শেয়ার করছি। হুজুগে বাঙালির স্বার্থপরতার সংস্কৃতিরও পরিচয় মিলবে এ লেখায়। “আপনি সব স্যানিটাইজার একাই কিনলেন। সব মাস্ক , সব সাবানও আপনি কিনে নিলেন। এতে করে আপনি বেশী নিরাপদে বাঁচবেন না। বরং আপনার চারপাশে সবার হাতে ভাইরাস থাকবে। কারন তাদের স্যানিটাইজার নাই। সাবান নাই। তখন আরো বেশী করে ভাইরাসে আপনার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়বে। তাই স্যানিটাইজার , মাস্ক, টয়লেট পেপার বা সাবান মজুদ করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেশী। সকলেই ভালো থাকতে চায়, সুস্থ থাকতে চায়। কিন্তু স্বার্থপরের মতো একা বাঁচতে গেলে আপনার বিপদের সম্ভাবনা বেশী হবে। বেশী বেশী করে সাবান ঘষলে বা স্যানিটাইজার ঢেলে দিলেই জীবানু বেশী মরে না। বরং এসব সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা জরুরী। ইউটিউবে ভিডিও আছে। স্বাস্থ্য সংস্থা, এনজিও এমনকি সাবান প্রস্তুতকারকেদের ওয়েব সাইটে বিশদ বর্ণনা পাবেন। পানি খান পরিমান ও পিপাসা অনুযায়ী। পানি খেলে ভাইরাস পেটে চলে যাবে এটা মিথ্যা। সুস্থ লোকের মাস্ক পরার কোন দরকার নাই। যার হাঁচি কাশি আছে তিনি মাস্ক পরবেন। মাস্ক সঠিক জায়গাতে ফেলবেন। যেমন কোন বদ্ধ কনটেইনার, বিন বা মাটির গর্তে। যেখানে সেখানে থুথু ফেলা, হাঁচি কাশি দেয়া ঠিক না। নিয়ম মেনে নাক মুখ কনুই দিয়ে ঢেকে হাঁচি দিন। পরিচ্ছন্নতা মেনে চলেন। হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ করা , নাক খোঁচানো , এসব ঠিক না। ঢাকায় কোটি কোটি মশা। সবার কি ডেংগু হয়েছে? সেরকম সবার এই অসুখও হবে না। ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে চলুন। হাবিজাবি , গুজব শেয়ার দিয়ে লোকজনকে বিভ্রান্ত না করে নিজে জানুন ও যাচাই করে শেয়ার করুন। করোনা ভাইরাসের বিষয়ে হটলাইন নম্বরগুলি হাতের কাছে লিখে রাখুন। ০১৯৩৭১১০০১১ , ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫. বছরে প্রায় তিন থেকে ছয় লাখ মানুষ প্রচলিত ইনফ্লুয়েঞ্জা তে মারা যায়। ৫০ লাখের বেশী লোক সিরিয়াস কেস হয়ে হাসপাতালে যায় বা বিশেষায়িত চিকিৎসা নেয়। তাই আপনার পাশে কেউ হাঁচি কাশি দিলেই তাকে করোনা রোগী ভাবা ঠিক না। এটা সাধারন ফ্লূও হতে পারে। ভয় নয়, আতংক নয়, বরং আত্মবিশ্বাসের সাথে এই ভাইরাসের বিষয়ে জানুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।” অকুস্থল ১২ নং রোড উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১২ নং সড়কটি চওড়ায় ১৫ ফুটের বেশি হবে না। গত ৬ মাস ধরে এই রাস্তার ওপর দিয়ে যে অস্ত্রোপচার চলছে তা চোখ বুজে একটু অনুভব করলেই শঙ্কিত হতে হয়। রাস্তার জায়গায় মানুষ হলে কবেই অক্কা পেতো। প্রথমে রাস্তাটির পাঁজর বরাবর খোড়াখুঁড়ি শুরু হলো। ঢাউশ সব চৌকোনা বাক্সসদৃশ জায়গা চিহ্নিত করে বিশাল সব গোলাকার কংক্রিটের পাইপ বসানো হলো মাটির নিচে। এরই নাম ভূগর্ভস্থ পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা, যা এলাকাবাসীর চোখের আড়ালেই ছিল এতকাল। এই সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য দিনরাত প্রাইভেট কার আর রিক্সা চলাচলের লাগাতার শব্দের অবসান হলো। তাই বলে যে শব্দদূষণ থেকে মুক্তি মিলেছিল এলাকাবাসীর, তা নয়। পয়োলাইন বসানোর জন্য এবং রাস্তার পাঁজর গভীরভাবে খোড়ার জন্য নানা ধরনের যন্ত্র এলো ওই সড়কে, তার মুহুর্মুহু শব্দে মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড়। যাহোক, আসল কথায় আসি। এতক্ষণ গেল কেবল গৌরচন্দ্রিকা। রাস্তার উত্তর প্রান্ত ঘেঁষে ফের শুরু হলো খোড়াখুঁড়ি। দেখতে দেখতে দুই হাত চওড়া অল্পগভীর নর্দমা বা নালা ফুটে বেরুলো। সেই দুই হাত জায়গার জন্যে আরো জায়গা দরকার পড়লো । মোট চার হাত জায়গা লাফ দিয়ে তো আর পেরুনো যায় না। বাসাবাড়ি সব খানিকটা উঁচুতে, আর নর্দমা নিচে। ফলে ৩০ ডিগ্রি কৌনিক অবস্থানে এখন সড়ক। সড়ক না বলে ইট, মাটির স্তূপ জমিয়ে রাখা এক মহাহুলস্থুল কায়দা। দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটের বাশিন্দারা করুণার চোখে তাকাতে শুরু করলো উত্তর পাশের আবাসিক নাগরিকদের। হায় আল্লা। এই সুখ বেশিদিন সইলো না। নর্দমার দুই পাড় কংক্রিটের পাঁচিল দিয়ে সুরক্ষিত করার পর এবার শুরু হলো রাস্তার দক্ষিণ দিকে খোড়াখুঁড়ি। এবার বেরুলো আরো বড় নালা। লাগলো বাঁশের আরো বড় সিঁড়ি বা পাটাতন। ঘর থেকে বাইরে বেরুনোর জন্য ওই পাটাতন ব্যবহার করেই নাস্তানাবুদ রাস্তাটায় যেতে হবে। রাস্তার শেষ মাথা মানে এমাথা ওমাথা পাক্কা পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। মানুষের যে কী ভোগান্তি! কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে পাঁজাতোলা করে হাসপাতালে নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। এরই নাম নগরযন্ত্রণা। আমরা জানি, নগর গড়ে ওঠার সময়েই পরিকল্পিতভাবে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হয়। কর্তৃপক্ষ বলতেই পারেন, যেখানে বড়জোর ১০০ মানুষের থাকার কথা সেখানে হাজারজনের বাস হলে তাদের পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্যে তো বড় ব্যবস্থা নিতেই হবে। এখন সেটাই নেয়া হচ্ছে। ৬ মাস গেছে, ভাবছি আর কতো মাস গেলে এই রাস্তাটা ব্যবহারযোগ্য হবে, পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে। এমন দশা এখন উত্তরার প্রায় সবগুলো সেক্টরের শত শত রাস্তার। সয়ে যাওয়া আর অপেক্ষার দিন গোনা ছাড়া কী আর করার আছে এলাকাসাসীর। নারী দিবস নারী দিবস কি শুধুই নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? তা নয়, বরং নারীর সমান্তরালে নারীভুবন সম্বন্ধে পুরুষদের সচেতনতার একটি সুযোগ নিয়ে আসে এই নারী দিবস। নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণ কেমন তার ওপরেও নির্ভর করে নারী দিবসের সার্থকতা ও বিফলতা। নারী-পুরুষের স্বাভাবিক সহাবস্থান, সমানাধিকার এবং সমমর্যাদার বিপক্ষে অবস্থান করতে পারে পুরুষের পাশাপাশি নারীও। একথা নারীবাদীরা হয়ত মানবেন না। তারা সব কিছুর পেছনেই দায়ী করেন পুরুষতন্ত্রকে। পরিবারে নানা অবস্থানে অবস্থানকারী নারীদের ভেতর (বউ-শাশুড়ি-কন্যা-ননদ) সম্পর্কের দ্বান্দ্বিকতার নেপথ্যে পুরুষতন্ত্র ও অর্থনীতি ক্রিয়াশীল থাকেÑ এটা অমান্যের কিছু নেই। কিন্তু কট্টর নারীবাদীরা কিছুতেই মানতে নারাজ যে নারীরও মানসিক উন্নতি ও সহৃদয়তা জরুরী পারিবারিক সম্পর্কগুলো সুশোভন রাখার প্রয়োজনে। যাহোক, নারী দিবসে ঢাকার নারী সমাজ নিয়ে দু’একটা কথা বলার জন্যই এই গৌরচন্দ্রিকা। সাধারণভাবে ঢাকার বহিরঙ্গের জীবনে বা সোজা কথায় রাস্তাঘাট অফিস-আদালতে যেসব নারী আমরা দেখি তারা তো সম্পর্ক সূত্রে আমাদের তথা পুরুষের অচেনা ও পরিচিত, স্বজন ও সহকর্মীও বটে। সবচেয়ে বড় কথা তারা সহনাগরিক। একথা আমরা স্বীকার করি আর নাই করি, ঢাকার নারী সমাজ সাধারণভাবে অগ্রসর ও সপ্রতিভ। এক অর্থে তারা পুরুষের পাশাপাশিই চলেছেন। কার্যালয়ে পুরুষের সঙ্গে সহযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই কর্মপরিবেশ বজায় রাখছেন, পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন। নারী-পুরুষভেদ টেনে যারা নারীর এই সমকক্ষতায় প্রতিবন্ধক হয়ে উঠছেন, সেই গুটিকতক পুরুষ যেমন নারীর প্রতিরোধের সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি পুরুষ সহকর্মীদের অনেকেও প্রতিবাদ করছেন। অর্থাৎ বলতে চাইছি, নারী একদিকে সরব হচ্ছেন, অপরদিকে পুরুষদেরও মানসিকতার পরিবর্তন ঘটছে। গণপরিবহনের মহিলা আসনের উদাহরণ টানা যাক। বাসে ছ’টি বা নয়টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হলেও কোন নারী বাসের বাদবাকি যে কোন খালি আসনেই বসার অধিকার রাখেনÑ এই সহজ কথাটি বহু পুরুষই বুঝেন না। বাসে মহিলা সিট খালি থাকলে কোন মহিলা যদি সংরক্ষিত ওই আসনে না বসে সবার জন্য উন্মুক্ত অন্য যে কোন আসনে বসতে যান, তখন দু’একজন পুরুষ অবশ্য আপত্তি তোলেন। সে সময় দেখেছি বাসের অন্য পুরুষ যাত্রীদের কেউ তার প্রতিবাদ করছেন। এটা অবশ্যই ইতিবাচক দিক। ঢাকার পথেঘাটে আগের তুলনায় বেশি সংখ্যক নারী দেখা যায় যারা ব্যক্তিগত গাড়ি চালাচ্ছেন। মোটরসাইকেল চালক নারীর সংখ্যা অবশ্য তেমন বাড়েনি। নারীর জন্য রাজধানীতে আর আলাদা পেশা বলে কিছু নেই। সব পেশাতেই নারী তাদের কর্মদক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ সুন্দরভাবে কাজে লাগাচ্ছেন। অনেক পরিবারে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা একটু রাত করে ঘরে ফিরলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই দেখা হচ্ছে। ঢাকায় ইভটিজিং বহুলাংশে কমেছে। পথেঘাটে নারীর চলাচল শতভাগ নিরাপদ হয়েছে এমন দাবি করব না, তবে অবস্থার উন্নতি ঘটেছে। নদীর স্বস্তি অপকর্মকারীরা সাবধান ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যায় করার দিন শেষ। আইন তার নিজস্ব গতিতেই চলবে। বেআইনী কিছু করা আর যাবে না। তাই বলতেই হয় অপকর্মকারীরা অপকর্মের লাগাম টানুন। সুপথে ফিরে আসুন। বুড়িগঙ্গা নদীতীর এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে অতীতে অনেকবার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু মাস না পেরোতেই আবার স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তবে গত বছর দুয়েকের উচ্ছেদ অভিযান তুলনামূলকভাবে ফলপ্রসূ। এসব অভিযানের পর আগের মতো পুরো জায়গা পুনর্দখলের ঘটনা ঘটেনি। নদী-খাল-জলাশয় রক্ষায় এবং সরকারী খাসজমি উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান জরুরী। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পারে অনেক জায়গা এখনও বেদখল হয়ে আছে। অনেক জায়গায় নদীপারের স্মারক খুঁটিও উধাও করে ফেলা হয়েছে। এখন চতুর্থ ধাপের উদ্ধার অভিযান চলছে। এ ধাপের ১৮তম দিনে গত মঙ্গলবার বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের সংযোগস্থল চরওয়াশপুর মৌজায় তিনটি পাকা একতলা ভবন, ১০টি পাকা ওয়াল, ১০টি অন্যান্য স্থাপনাসহ মোট ২৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে তীরবর্তী প্রায় তিন একর জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। বিআইডাব্লিউটিএ বলেছে, অভিযান চলবে। সংস্থাটির যুগ্ম পরিচালক (নদীবন্দর) বলেছেন, তাঁরা যে কোন মূল্যে নদীর জায়গা উদ্ধার করবেন। নৌমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বয়ে কাজ চলছে। মঙ্গলবারের অভিযানে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন মাইশা পাওয়ার প্লান্টের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। সংসদ সদস্য আসলামুল হক বাধা দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, নদী দখল করে প্লান্ট করা হয়নি। তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে। যৌথ জরিপ করা হয়েছে। তিনি অনেকবার বিআইডাব্লিউটিএকে বলেছেন নদীর সীমানা নির্ধারণ করতে। কিন্তু বিআইডাব্লিউটিএ তাঁর কথা শোনেনি। সীমানা চিহ্নিত করেনি। যা হোক, সংসদ সদস্য অভিযান বন্ধ করতে পারেননি। এটিই তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা। ৮ মার্চ ২০২০ [email protected]
×