ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেতিবাচক ধারা থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ৯ মার্চ ২০২০

 নেতিবাচক ধারা থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নেতিবাচক ধারা থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ২৫৩ পয়েন্ট কমার পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে কমেছে আরও ৯৬ পয়েন্ট। গড় লেনদেন নেমেছে ৪৮২ কোটি টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক কমেছে ৩১৮ পয়েন্ট। কমেছে গড় লেনদেনও। অধিকাংশ শেয়ারের দাম কমেছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই। আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেও সূচকের নিম্নমুখী ধারায় ছিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩ কার্যদিবসেই। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের চেয়ে ৭১ পয়েন্ট কমে সপ্তাহ শুরু হয়, ৪ হাজার ৪০৯ পয়েন্টে। পরের দুই কার্যদিবসে বাড়ে ৫৭ পয়েন্ট। তবে বুধ ও বৃহস্পতিবার মোট ৮২ পয়েন্ট কমে সপ্তাহ শেষ হয়, ৪ হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে; যা এর আগে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের চেয়ে ৯৬ পয়েন্ট কম। সূচকের সঙ্গে কমে গড় লেনদেনও। প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৫৬ কোটি টাকা। সপ্তাহের সর্বোচ্চ ৬০৯ কোটি টাকা লেনদেন হয় মঙ্গলবার। সর্বনিম্ন ৪১৫ কোটি টাকা লেনদেন হয় বৃহস্পতিবার। আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৩৫ কোটি টাকা কমে গড় লেনদেন নামে ৪৮২ কোটি টাকায়। লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের মধ্যে ৯৭টির দাম বাড়ার বিপরীতে কমে ২৩৭টির। অপরিবর্তিত ছিল ২৪টির দাম। ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষে ছিল- সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এ্যান্ড স্পা লিমিটেড, হাক্কানি পাল্প এ্যান্ড পেপার লিমিটেড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালি রিফাইনারি। দাম কমার শীর্ষে ছিল ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, রংপুর ডেইরি এ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, রানার অটোমোবাইলস, আমান ফিড। সূচকের উত্থান-পতনে সপ্তাহজুড়েই ডিএসইকে অনুসরণ করে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ। প্রথম কার্যদিবসে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমে ২২৩ পয়েন্ট। সোম ও মঙ্গলবার বাড়ে ১৪৭ পয়েন্ট। তবে পরের দুই দিনে ২৬২ পয়েন্ট কমে সপ্তাহ শেষ হয় ১৩ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে যা এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের চেয়ে ৩১৮ পয়েন্ট কম। সূচকের সঙ্গে কমেছে গড় লেনদেনও। প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন হয় সপ্তাহের সর্বনিম্ন ১৫ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ ২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয় মঙ্গলবার। পরের দুই দিনে লেনদেন কমে ৪ কোটি টাকা করে। সপ্তাহের ব্যবধানে ৭ কোটি টাকা কমে গড় লেনদেন হয় ১৮ কোটি টাকা। লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৭৬টির দাম বাড়ার বিপরীতে কমে ২০২টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দাম।
×