ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলে ড. রাজ্জাক

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্্যাপন ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র চলছে

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৮ মার্চ ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদ্্যাপন ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র চলছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৭ মার্চ ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ১৭ মার্চ আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করতে যাচ্ছি। সেটাকে ব্যর্থ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি দিল্লীতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। তারজন্য আমরা অবশ্যই ব্যথিত, আমরা অবশ্যই এর নিন্দা জানাই। কিন্তু আমরা এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের এক কোটি মানুষকে খাবার দিয়েছে, আশ্রয় দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন এটা আমাদের জন্য সম্মানের। নরেন্দ্র মোদি এখানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবেন। শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ২০২০-২১ সালের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু ভিআইপি মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলন করার শক্তি নেই। তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আন্দোলন, সংগ্রাম করে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা যাবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা সরকারের হাতে নেই। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। খালেদা জিয়া রাজনীতি করে জেলে যাননি। দুর্নীতির মামলায় প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার সাজা হয়েছে। তার মুক্তি কেবল বিচার বিভাগের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী হতে পারে। বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের ‘সরকারের ইচ্ছা ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না’- এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনাও করেন মন্ত্রী। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকতা একটি স্বাধীন ও মহান পেশা। চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র রাষ্ট্রের অন্য তিন স্তম্ভের ভুলভ্রান্তি তুলে ধরে। রাষ্ট্র কোন দিকে যাচ্ছে- ভাল দিকে যাচ্ছে কিনা, সঠিক পথে আছে কিনা তা সাংবাদিকরা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরেন। পৃথিবীর অনেক দেশে সাংবাদিকদের ওপর নানা রকম নির্যাতন-নিষ্পেষণ চলছে। সাংবাদিকরা যুদ্ধের সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে অনেকক্ষেত্রে তাঁদের জীবন হারাচ্ছেন। প্রেসক্লাবের দায়িত্ব দুটি। প্রথম কাজ হচ্ছে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ এবং তথ্যনির্ভর সংবাদ পরিবেশন নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে সাংবাদিকের নিজের পরিবার রয়েছে, তাঁদের জীবন-জীবিকা ও স্বার্থগুলো তুলে ধরা ও নিশ্চিত করা। ড. আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহাকাব্য হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ১৮ মিনিটের ভাষণ। এ অনন্য ভাষণের মাধ্যমে তিনি সাড়ে সাত কোটি বাঙালীকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। নিরস্ত্র বাঙালীকে জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন, জীবনদানের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই স্বাধীনতার ঘোষণা অন্তর্নিহিত ছিল। আমাদের ইতিহাসে চিরকাল এটি উজ্জ্বল, চিরভাস্বর এবং হিরন্ময় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর নেতৃত্বে আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ক্ষেত্র তৈরি করেছি। তারাই এ দেশটিকে গর্বের- অহঙ্কারের দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, ছানোয়ার হোসেন এমপি, তানভীর হাসান ছোটমনির এমপি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা প্রমুখ। এর আগে শনিবার সকালে কৃষিমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
×