ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর হাতে কর্মচারী নিহত

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৮ মার্চ ২০২০

টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর হাতে কর্মচারী নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ৭ মার্চ ॥ টঙ্গী রেলস্টেশনে একদল ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এলিট গ্রুপের এক কর্মচারী নিহত হয়েছেন। তার নাম রাকিবুল ইসলাম (২৬)। শুক্রবার গভীর রাতে ট্রেনে করে দেশের বাড়ি থেকে ছুটি শেষে ঢাকার কর্মস্থলে ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে তিনি নিহত হন। তার পিতার নাম আবদুল ওয়াদুদ। বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার আজগেরা গ্রামে। টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকায় এলিট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে কাজে যোগ দিতে শুক্রবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন রাকিবুল। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে টঙ্গী রেল জংশনে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি টঙ্গী জংশনে এসে থামে। যাত্রী নেমে যাবার পর রাকিবুল ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় ৫/৬ জনের একদল ছিনতাইকারী তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে থাকে। রাকিবুলও ছিনতাইকারীদের পিছু নিয়ে দৌড়াতে থাকে। মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ছিনতাইকারী দলের সঙ্গে রাকিবুলের ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এ সময় ছিনতাইকারীদল দ্রুত ঝামেলা এড়াতে ধারালো ছোরা দিয়ে রাকিবুলের পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান রাকিবুল। মানিকগঞ্জে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা মানিকগঞ্জ থেকে জানান, সিংগাইরে স্বামীর পিটুনিতে বৃষ্টি আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে । শনিবার সকাল ছয়টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের জায়গীর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । ঘটনার পর থেকে স্বামী তরিকুল পলাতক রয়েছে । নিহত বৃষ্টি আক্তার সিংগাইর উপজেলার জার্মিতা ইউনিয়নের কাঞ্চননগর গ্রামের সৌদি প্রবাসী বাদশা মিয়ার মেয়ে। পলাতক স্বামী তরিকুল ইসলাম একই উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসের চর গ্রামের। সে রাজমিস্ত্রির কাজ করে । জানা গেছে , বৃষ্টি আক্তার ও তরিকুল ইসলাম প্রেম করে তিন বছর আগে বিয়ে করে । ছেলের পরিবার বিয়ে মেনে না নেয়ায় জায়গীর গ্রামের হাফিজুর রহমানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তারা । শনিবার ভোরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী তরিকুল কাঠের লাঠি দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এতে বৃষ্টি আক্তার ঘটনাস্থলেই মারা যায় । ঘটনার পর পরই তরিকুল পালিয়ে যায় । পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয় । ফরিদপুরে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, ফারুক ম-ল (৩৯) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুর সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের শ্মশান ঘাট এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ফারুক রাজবাড়ী সদরের পাচুড়িয়া ইউনিয়নের গুপ্তকান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত সিদ্দিক ম-লের ছেলে। সে ইজিবাইক চালাত। তার পিঠে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। বরিশালে নারী স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, নগরীর বিসিক এলাকার বেঙ্গল বিস্কুট ফ্যাক্টরির সামনে রাস্তার পাশ থেকে শনিবার সকালে অজ্ঞাত (৫০) এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কাউনিয়া থানার এসআই মোঃ সেলিম জানান, সকালে ওই এলাকায় পথচারীরা এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। গাজীপুরে মাদ্রাসা ছাত্র স্টাফ রিপোর্টার গাজীপুর থেকে জানান, মুক্তিপণের দাবিতে রাজধানীর থেকে অপহরণের দু’দিন পর শনিবার এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মোঃ ইব্রাহিম হোসেন (১০)। সে ঢাকার হাজারীবাগ এলাকার মনির হোসেনের ছেলে। ইব্রাহিম ওই এলাকার দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র ছিল। নিহতের স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে অপহৃত হয় ইব্রাহিম। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান না পেয়ে হাজারীবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইব্রাহিমের বাবার কাছে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে হুমকি দেয়। উপায়ন্তর না দেখে মনির হোসেন বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ বাবদ ১০ হাজার টাকা দেয় অপহরণকারীদের। কিন্তু ওই টাকা দেয়ার পরও ইব্রাহিমের সন্ধান পাননি স্বজনরা। এদিকে অপহরণের দু’দিন পর শনিবার সকালে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মিরেরগাঁও এলাকায় রেললাইনের পাশে এক মাদ্রাসাছাত্রের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। বাগেরহাটে স্বামী স্টাফ রিপোর্টার বাগেরহাট থেকে জানান, মংলায় স্ত্রীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত মোঃ তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে খুলনার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে তরিকুলকে ধারালো দা দিয়ে বুকসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে আহত করে স্ত্রী হীরা বেগম। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে মংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে খুলনার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। নিহত তরিকুল ইসলাম মোংলা পৌরসভার বটতলা মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তরিকুলের দুইজন স্ত্রী রয়েছে। হীরা বড় বউ হিসেবে সংসার করে আসছিল। মংলা থানার এস আই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী হীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তরিকুলকে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে প্রথমে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
×