ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উচ্চ ফলনশীল বিনা মসুর-৮ ও ৯ ডাল আমদানি নির্ভরতা কমাবে

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ৮ মার্চ ২০২০

উচ্চ ফলনশীল বিনা মসুর-৮ ও ৯ ডাল আমদানি নির্ভরতা কমাবে

সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা ॥ উচ্চ ফলনশীল বিনা মসুর-৮ ও ৯ এর চাষ সারাদেশে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে অল্প সময়ের মধ্যে বিদেশ থেকে ডাল জাতীয় পণ্যর আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। বিনা-৮ ও ৯ জাতের মসুরি চাষ সম্প্রসারণের লক্ষে শনিবার বিকেলে মাগুরা সদরের বরই গ্রামে অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় উদ্ভাবকরা এ কথা জানান। আইএফএডি-এর অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় মাগুরা বিনা উপকেন্দ্র এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বীরেশ কুমার গোস্বামীর সভাপতিত্বে মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- কৃষি মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) বলাই কৃষ্ণ হাজরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে- পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সিগ্ধা রায়, মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক জাহিদুল আমিন, মাগুরা মসলা গবেষণা উপকেন্দ্রের উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান,সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা ও মাগুরা বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান ম-ল। মাঠ দিবসের আলোচনা সভা শেষে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিনা মসুর-৮ ও ৯ এর বিজ সংরক্ষণের জন্য কৃষদের মাঝে উন্নতমানের ড্রাম বিতরণ করা হয়। কৃষকরা বলছেন, বিনা-৮ ও ৯ জাতের মসুরি চাষ করে তারা লাভবান হয়েছেন। কারণ সাধারণ জাতের মসুরির চেয়ে এর ফলন দ্বিগুণ। উদ্ভাবকরা জানান, বিনা-৮ ও ৯ জাতের এর মুসরির রোগ বালাই নেই বললেই চলে। জীবনকালও প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম। অন্যদিকে ফলন হয় দ্বিগুণ। এ জাতের মসুরি চাষ সারাদেশে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশ থেকে ডাল জাতীয় পণ্যর আমদানি নির্ভরতা কমানো সম্ভব হবে।
×