ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ধর্মের নামে যারা ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চায় তারা ষড়যন্ত্রকারী, সুবিধাবাদী

প্রকাশিত: ১০:১৬, ৭ মার্চ ২০২০

  ধর্মের নামে যারা ভেদাভেদ সৃষ্টি করতে চায় তারা ষড়যন্ত্রকারী, সুবিধাবাদী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বসবাসযোগ্য বিশ্ব গড়ে তুলতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার কাজে রাষ্ট্রকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, মানুষের মধ্যে ধর্মের নামে ভেদাভেদ যারা সৃষ্টি করতে চায়, তারা মূলত ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাবাদী শ্রেণীর। এরা নিজেদের হীনস্বার্থ হাসিল করতে দেশে দেশে, বিভেদ, ধর্ম-বর্ণের বিভেদ তৈরি করার অপচেষ্টা করে থাকে। সম্প্রতি দিল্লীতে ঘটে যাওয়া বেদনাহত ঘটনায় বিশ্বাবাসীর সঙ্গে আমরাও মর্মাহত। আমরা দিল্লীর সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পাশে বিবেকবান বিশ্ববাসীকে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। আমরা আশা করব ভারত সরকার এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ও উপমহাদেশের হাজার বছরের সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ইতিহাস দেশবাসী অক্ষুণœ রাখবেন। শুক্রবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের আহ্বানে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সভাপতির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডাঃ সারওয়ার আলী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে সাম্প্রদায়িক পথে থাকার অনুরোধ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের সাফল্য কামনা করেন। নারী-শিশু সুরক্ষা, ধর্মীয় সংখ্যালঘু আদিবাসীদের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা, উগ্র-ধর্মান্ধ রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জয়ন্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে আজাদ, জাহাঙ্গীর আলম ফজলু, কাজী সালমা সুলতানা, সদস্য-জোবায়ের আলম, বেলায়েত হোসেন, ছাত্র নেতা গৌতম শীল প্রমুখ। সভায় নাট্যাভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সামনে রেখে শপথ নিতে চাই, ধর্মের মহান বাণী সর্বক্ষেত্রেই সকল মানবতার সমমর্যাদা। নারী-শিশুদের সুস্থ ও স্বাভাবিক ধারায় বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবারের দায়িত্ব রয়েছে। সমাজে এক শ্রেণীর নিকৃষ্ট মানুষ নারী-শিশু ধর্ষণে লিপ্ত এদের কঠোর হস্তে দমন করা গেলেই দেশ, সমাজ উন্নয়নের গতি ফিরে আসবে। রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সন্ত্রাসবাদ, ধর্মান্ধতা ও ষড়যন্ত্র একইসূত্রে গাঁথা। ধর্মন্ধতাকে রুখতে হলে আইনের প্রায়োগিক ব্যবস্থা কঠোর হতে হবে। রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে জনমুখী ও জবাবদিহিতায় নিয়ে আসতে হবে।
×